ঢাকা, রবিবার, ২০শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মিরপুরে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

ঢাকা: ঈদুল ফিতর ঘনিয়ে আসায় জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। ঈদের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে নিতে প্রিয়জনদের নিয়ে কেনাকাটা করছেন সাধারণ মানুষ।রাজধানীর মিরপুরের বিভিন্ন এলাকার শপিং সেন্টার ও বিপণিবিতান ঘুরে এমনই চিত্র দেখা যায়।

মঙ্গলবার (১১ মে) সকাল থেকে মিরপুর অঞ্চলের পল্লবী এলাকার মোল্লা মার্কেট, রংধনু শপিংমল, পল্লবী শপিং কমপ্লেক্স, অনিক প্লাজা, নান্নু মার্কেট, মিরপুর-১০ নম্বর এলাকার শাহআলী শপিং কমপ্লেক্স, মিরপুর বেনারসি পল্লী, মিরপুর-১ নম্বরের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট, কো-অপারেটিভ মার্কেট, মুক্তবাংলা শপিং কমপ্লেক্স, নিউ মিরপুর নিউমার্কেটসহ ছোটবড় সব শপিংমলে ক্রেতা সাধারণের আনাগোনা শুরু হয়। তবে দুপুরের পর দর্শনার্থী-ক্রেতাদের ভীড় বাড়তে শুরু করে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, অনেকদিন বন্ধ থাকার পর গণপরিবহন খুলে দেওয়ায় শপিং সেন্টারে ক্রেতাদের উপস্থিতি বেড়েছে। আর এতে ব্যবসা ভালো হওয়ার আশা দেখছেন তারা।

মিরপুর ১২ নম্বরের মোল্লাহ মার্কেটে তৈরি পোশাকের একটি দোকানের ব্যবস্থাপক আতা উল্লাহ বলেন, রোজার অর্ধেক চলে গেলো দোকানে ক্রেতা আসছিল না। কোনোমতে দোকান খুলে চলছিলাম। তবে বিগত দুই দিন ধরে গ্রাহক পাচ্ছি। গণপরিবহন চালু করে দেওয়ায় এমনটা হচ্ছে।

করোনা-লকডাউন যাই থাকুক না কেন পরিবারের সদস্যদের জন্য ‘কিছু’ হলেও কেনাকাটা করতে মার্কেটে আসছেন দর্শনার্থীরা। মিরপুর ১০ নম্বরে শাহআলী শপিং কমপ্লেক্সে আসা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা হালিমা ইয়াসমিন মুক্তা বলেন, ঈদে এমনিতেই নিকটাত্মীয় বা বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে দেখা হবে না। আগে যখন আমরা ঈদ করতাম তখনকার পরিবেশ তো আর এখন নাই। কিন্তু পরিবারের সদস্যদের জন্য কিছু তো কিনতে হয়, ছোটরা থাকে। এতো হতাশার মধ্যে এটাই হয়তো একটু বিনোদন ও আনন্দ।

কেউ কেউ আবার গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার আগে পরিবারের সদস্যদের জন্য কেনাকাটা করতে এসেছেন। মিরপুর ১১ নম্বরের নান্নু মার্কেটে কেনাকাটা করতে আসা মনিরুল ইসলাম বলেন, আজ রাতে বাড়ির উদ্দেশ্যে যাবো। বাড়িতে বয়স্ক মা-বাবা আছে। আমার একটা মেয়ে আছে। বাড়িতে গেলে তাদের তো কিছু আশা থাকে। তাই অল্প করে হলেও কিছু কেনাকাটা করছি।

তবে অনেক মার্কেটের প্রবেশদ্বারে স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই থাকলেও মার্কেটের ভেতরে আর সেটি দেখা যায়নি।

মিরপুর-১ নম্বরের কো-অপারেটিভ মার্কেটের দোকান মালিক সমিতির নেতা হাফিজুল ইসলাম বলেন, এ মার্কেটে ঢোকার প্রতিটি গেটে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে,  হ্যান্ড স্যানিটাইজার আছে। মার্কেটের ভেতরেও নির্দিষ্ট জায়গায় আমাদের সদস্যরা রয়েছেন। তারা দেখছেন যে কেউ মাস্ক না পরা আছে কি না, কারও হ্যান্ডস্যানিটাইজার প্রয়োজন হলে দিচ্ছেন। তবে কিছু দোকানে আসলেই গ্রাহকদের ভিড় থাকে। এর জন্য আমরা দোকান কর্তৃপক্ষকে বারবার সতর্ক করছি। সবাই যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে তার জন্য কিছুক্ষণ পরপরই মাইকে ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে, বিপণিবিতানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে আবারও সতর্ক করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।  ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আমরা বারংবার স্বাস্থ্যবিধি মানার কথা বলছি। সোমবারও (১০ মে) আমরা উত্তরার একটি শপিং সেন্টার বন্ধ করেছি। আজও আমরা অভিযান করছি। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে চাঁদ রাতেও শপিং সেন্টার বন্ধ হতে পারে। কাজেই আমি সবাইকে সতর্ক করবো, আপনারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা করেন।