ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

মালদ্বীপে প্রবাসী বাংলাদেশি নিখোঁজ, সহকর্মী আটক

মালদ্বীপে প্রবাসী বাংলাদেশি নিখোঁজের ঘটনায় তার সহকর্মীকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ। আটক ব্যক্তি মালদ্বীপের থিনাধু আইল্যান্ডের মোহাম্মদ নিজাম (৪৫)। আর নিখোঁজ প্রবাসী বাংলাদেশির নাম মোহাম্মদ লিটন (৩৫)।

গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর ফুয়েল বার্জসহ এই দুজন নিখোঁজ হওয়ার খবর প্রকাশ হয়। তাদের উদ্ধারে মালদ্বীপ পুলিশ অভিযান চালায়। অভিযানের পরের দিন ফুয়েলবাহী বার্জটি মালদ্বীপ এয়ারপোর্ট হুলহুলের নিকটবর্তী সাগরে ভাসমান স্থায় পাওয়া যায়।

এরই মধ্যে সমুদ্রপথে নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানে মালদ্বীপ পুলিশ একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। অনুসন্ধানের একপর্যায়ে, মালদ্বীপের বা-ভেনফারু আইল্যান্ডের কাছে সাগরে ভাসমান একটি অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহের পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ।

উদ্ধার অভিযানের সময় গত ২ জানুয়ারি নিজামকে মালে সিটিতে দেখা যায়। তার একটি ছবিও টুইটারে পোস্ট করা হয়। বিষয়টি পুলিশের নজরে এলে দুই নিখোঁজ ব্যক্তির মামলা অন্যদিকে মোড় নেয়। পুলিশ নিখোঁজ নিজামকে রাজধানী মালের একটি গেস্টহাউস থেকে উদ্ধার করেন। তাকে গত মঙ্গলবার বাংলাদেশি লিটন হত্যার অভিযোগে আদালতের আদেশে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

দেশটির একজন শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা মালদ্বীপের স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, মোহাম্মদ নিজাম প্রবাসী বাংলাদেশি লিটনকে হত্যা করতে পারেন। কারণ তারা দুজনেই ফুয়েল বার্জে ছিলেন। আর প্রবাসী লিটন সেই বার্জের দায়িত্বে ছিলেন। ফুয়েল কোম্পানির কার্যক্রম পরিচালনাসহ বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ বহন করতেন লিটন। পুলিশের ধারণা, টাকা চুরি করতে লিটনকে হত্যা করতে পারেন নিজাম। গত বুধবার নিজামকে দেশটির আদালতে উপস্থিত করা হয়। আদালত নিজামকে ৬০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।

মালদ্বীপের বাংলাদেশ দৃতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মো. সোহেল পারভেজ বলেন, আমরা বিষয়টি অবগত আছি। নিখোঁজ ফুয়েল বার্জের ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ নিজামকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে ৬০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই জানা যাবে লিটন নিখোঁজ নাকি হত্যার শিকার। এরপর এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

নিখোঁজ লিটনের খালাতো ভাই মালেশিয়া প্রবাসী জিল্লুর রহমান বলেন, আমার ভাই মালদ্বীপের একটি ফুয়েল বার্জে কাজ করতেন। তার সঙ্গে কয়েকদিন ধরে যোগাযোগ করতে পারছি না। তার সহকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারি সে নিখোঁজ। তার সহকর্মী ক্যাপ্টেন নিজামকে পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করেছেন। আমার ভাই এতদিন নিখোঁজ থাকতে পারে না।