নিজস্ব প্রতিবেদক: ফুলবাড়িয়া পশ্চিম ও আনন্দবাজার পঞ্চায়েত কমিটির সকল সম্মানিত সদস্য ও বাড়িওয়ালার পক্ষ থেকে আপনারা অত্যন্ত কষ্ট করে এখানে আপনাদের উপস্থিতির জন্য অভিনন্দন| অত্যন্ত পরিতাপের সঙ্গে জানাইতেছি যে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরে গত ৫ ই আগস্ট থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে এক শ্রেণীর সন্ত্রাসী মহল ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও লুটপাটে লিপ্ত রয়েছে। এদের কর্মকাণ্ডে বর্তমান অন্তবর্তী কালীন সরকার বিব্রত বোধ করছে এবং দেশের যে অর্জন আর সুনাম নষ্ট হইতেছে। আমরা আরো দুঃখের সঙ্গে জানাইতেছি যে আমাদের অত্র এলাকার সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জনাব এম এ খায়ের মোল্লা বাচ্চু সাহেবের মালিকানাধীন পটুয়াখালী জেলার কুয়াকাটাস্থ “রোজ ভ্যালি মোটেল এন্ড রিসোর্ট “গত ৫ই আগস্ট পটুয়াখালী সদর এর লোহালিয়া গ্রামের সন্ত্রাসী জসিম সিকদার, ওরফে রানা, কবির শিকদার সর্ব পিতা মৃত আব্দুল কাদের শিকদার ও তার স্থানীয় ১০০/১৫০জানের একটি সঙ্গবদ্ধ দুষ্কৃতিকারী দল রোজভেলি হোটেল ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এরই ধারাবাহিকতায় কোর্টে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এমএ খায়ের মোল্লা কোর্টে জবাব দাখিলের জন্য গত ১৮/০৯/২৪ তারিখ গেলে উক্ত সন্ত্রাসী জসিম শিকদার রানা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের প্রিয় সাধারন সম্পাদক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এমএ খায়র মোল্লাকে পটুয়াখালী জজকোর্ট চত্বর থেকে অপহরণ করে পটুয়াখালী সদরের অদূরে তার নিজ এলাকার নির্জন বিল অঞ্চলে আটকে রাখে। পটুয়াখালী জেলাডিবি শহরের বিভিন্ন সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ ধরে অপহরণে ব্যবহৃত সন্ত্রাসী জসিম শিকদার রানার সাদা রংয়ের প্রাইভেট কার ঢাকা মেট্রো গ -২৩-৩০৩৮ ড্রাইভার সহ আটক করে পটুয়াখালী সদর থানায় নিয়ে আসে। এই সূত্র ধরে ডিবি পুলিশ সন্ত্রাসী রানাকে বিভিন্নভাবে চাপ দিয়ে ব্যবসায়ি খায়ের মোল্লাকে মৃত্যুর দুয়ার থেকে জীবিত উদ্ধার করে। উল্লেখ্য যে, অপহরণের দিন রাত্রে উক্ত সন্ত্রাসী দল ব্যবসায়ী খায়ের মোল্লাকে শারীরিকভাবে ব্যাপক নির্যাতন চালায় এবং অস্ত্রের মুখে ১২ টি ১০০ টাকা মূল্যের সাদা স্ট্যাম্প ও তিনটি সাদা কাটিজ পেপারে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করিয়ে নেয় এবংখায়ের মোল্লার মানিব্যাগে থাকা বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক বিজয়নগর শাখার একটি চেকে জোরপূর্বক পাঁচ কোটি টাকা লিখে স্বাক্ষর করিয়ে নেয় । ইহার পর হইতে উক্ত সন্ত্রাসী চক্র মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে আসছে চাঁদা না দিলে হোটেল দখলসহ ব্যবসায়ী এম এ খায়ের মোল্লা ও তার পরিবারকে জীবনে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। হুমকির কারণে এম এ খায়ের মোল্লা পটুয়াখালী কোর্টে আইনি সহযোগিতাও নিতে ভয় পাচ্ছেন। উক্ত ঘটনার আমরা সকল এলাকাবাসী ‘র পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানান।