
প্যালেস্টাইন এবং ইসরাইল এর ভৌগোলিক এরিয়া সময়ের পরিবর্তনে ভিন্নতা দেখা যায়। বর্নিত দুইটি ম্যাপে দেখা যায় প্যালেস্টাইন 1946 সালে ভূমধ্যসাগরের গাঘেসে বিরাট পরিসরে অনেক বড় আয়তরেন একটি বিশাল মুসলিম রাষ্ট্র। যেখানে বিচ্ছিন্নভাবে সামান্য সামান্য ভৌগোলিক এরিয়া নিয়ে ইসরাইলের অবস্থান দৃশ্যমান।
সময় গড়াতে থাকে ইসরাইলের ইহুদিদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে তাদের অবস্থানগত এরিয়ার পরিধি বাড়াতে থাকে। 1947 সালে জাতিসংঘ দুইটি দেশের অবস্থানগত ভৌগোলিক পরিধি নির্ধারন করে। যেখানে প্যালেস্টাইন এবং ইসরাইল এর ভৌগোলিক এরিয়া প্রায় সমান সমান দেখা যায়।এখানে ভূমধ্যসাগরের গা ঘেসে গাজা অঞ্চল ও মৃত সাগরের পাশে মূল প্যালেস্টাইন দৃশমান।গাজা অঞ্চল ও মূল প্যালেস্টাইনের চারিদিকে ইসরাইলের ভৌগোলিক অবস্থান দৃশ্যমান।
জাতিসংগের এ সিমানা ইসরাইল মেনে না নিয়ে ইসরাইল তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড দ্বারা প্যালেস্টাইনের মুসলিমদের হটিয়ে সময়ের ব্যবধানে 1949-1967 পর্যন্ত বিরাট পরিসরে ইহুদিদের বসতি স্থাপন করে। যেখানে প্যালেস্টাইনের মুসলিমদের ভৌগোলিক অবস্থান অনেক দুরবর্তী অবস্থানে দুইভাগে ভাগ হয়ে যায়। ছোট্ট একটি অংশ রয়ে যায় ভূমধ্যসাগরের গা ঘেসে গাজা অঞ্চল নামে- যার একপাশে শুধু ভূমধ্যসাগর এবং তিন পাশে ইসরালের দখলিয় ইহুদি বসতি। অন্যটি মূল প্যালেস্টাইন হিসেবে অবস্থান করলেও তার তিনদিকে ইসরাইল দখলে নিয়ে নেয়। মূল প্যালেস্টাইনের শুধু এক পাশে মৃত সাগর, পশ্চিম তীর ও সিরিয়ার সিমানা দৃশ্যমান এবং তিন পাশেই ইসরাইলের ইহুদি বসতি স্থাপন করে দখলে নিয়ে নেয়। এভাবে 2012 সালের দিকে ইসরাইলি দখলদার বাহিনী মূল প্যালেস্টাইনের চারিদিক দখলিয় অবস্থান বাড়াতে বাড়াতে মূল প্যালেস্টাইনকে ঘিরে ফেলে এবং মূল প্যালেস্টাইনকে মাঝখানে রেখে ছিন্নভিন্ন করে দেয়।
সর্বশেষ ভূমধ্য সাগরের পাশে গাজা অঞ্চলে প্যালেস্টাইনের মুসলিম অধুসিত ছোট একটি এলাকা অরক্ষিত হয়ে যায়। অপরদিকে মূল প্যালেস্টাইনকে ঘিরে নিয়ে ইসরাইলি দখলদার বাহিনী মুসলিম নিধন অব্যাহত রাখে।
প্যালেস্টাইনি মুসলিগন অসহায়ত্বের কান্নায় চোখের পানি ফেলে এবং স্বজন হারিয়ে পরাজিত হতেই থাকে। আর ইসরাইলি দখলদার বাহিনী তাদের দখলিয় অবস্থান ক্রমাগতেোবে বাড়াতে থাকে এবং নতুন নতুন দখলিয় স্থানে ইহুদি বসতি স্থাপন অব্যাহত রেখেছে। এভাবে মূল প্যালেস্টাইনের মাঝে মাঝে ইসরাইলি দখলদার সেনা বাহিনী ভৌগোলিকভাবে অবস্থান নিয়ে মূলত: মূলপ্যালেস্টাইনকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়ে মুসলিম নিধন অব্যাহত রেখেছে।
সম্প্রতি মে 2021 সময়ে ইসরাইলি দখলদার বাহিনী চড়াও হয়ে মুসলিম নিধন শুরু করেছে। সেক্ষেত্রে হামাস সহ কয়েকটি মুসলিম বাহিনী আত্নরক্ষার লক্ষ্যে বিচ্ছিন্নভাবে রকেট হামলা সহ অন্যান্য উপায়ে প্রতিরোধের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু মুসলিম বিরোধি বিশ্ব ইসরাইলকে অস্ত্র ও অন্যান্য সহায়তা প্রদানের কারনে ইসরাইল ক্রমাগতভাবে মুসলিম নিধন অব্যাহত রেখেছে। সেই সাথে ভৌগোলিক এরিয়া ইসরাইরি দখলদার বাহিনী বৃদ্ধি করে ইহুদি বসতি স্থাপন অব্যহত রেখেছ।ভূমধ্য সাগরের তীর ঘেসে ভৌগোলিক অবস্থানের ইতিহাস ছাড়াও ধর্মীয় দিক থেকে মুসলিম ও ইহুদিদের বিরাট ইতিহার রয়েছে। যা পরবর্তী সময়ে লিখার আশা রইল।