ঢাকা, রবিবার, ২০শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ হল কনভেনশন সেন্টারে দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিলেন ১৫৫০ জন

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষায় অধ্যয়নরত মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের আবাসিক সুবিধার্থে একটি নতুন পূর্ণাঙ্গ হল নির্মাণ করা হবে। আজ শনিবার ৮ মে ২০২১ইং তারিখে এ-ব্লকে শিক্ষার্থীদের আবাসিক হোস্টেল পরিদর্শন কালে এবং  হল প্রভোস্টের সাথে অনুষ্ঠিত একটি গুরুত্বপূর্ণ সভায় মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ তাঁর এই পরিকল্পনার কথা জানান। উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে শিক্ষার্থীদের থাকার জন্য কোনো পূর্ণাঙ্গ হল নেই। সে কারণেই মাননীয় উপাচার্য মহোদয় সভায় একটি পূর্ণাঙ্গ আবাসিক হল নির্মাণের উপর গুরুত্বারোপ করেন এবং বর্তমানের আবাসিক হোস্টেলটি সংস্কারের আশ্বাস প্রদান করেন। সভায় হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ডা. এসএম মোস্তফা জামান হল পরিচালনার নীতিমালাসহ হল সংক্রান্ত সংবিধি, প্রবিধানের খসড়া মাননীয় উপাচার্য মহোদয়ের নিকট হস্তান্তর করেন। গুরুত্বপূর্ণ ওই সভায় হলের নামকরণ করার বিষয়েও আলোচনা হয়। সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান দুলাল, হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ডা. এসএম মোস্তফা জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে মাননীয় উপাচার্য মহোদয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রাউন্ড দেন।
এদিকে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ মহোদয় আজ শনিবার ৮মে তাঁর কার্যালয়ে প্রশাসনিক মিটিং,  চাকুরী স্থায়ীকরণ বিষয়ে সভা এবং জুমে বাংলাদেশ চক্ষু চিকিৎসক সমিতির কার্যকরী কমিটির দ্বিতীয় মাসিক সভায় অংশগ্রহণ করেন। চক্ষু সমিতির সভায় সমগ্র দেশে চক্ষু চিকিৎসার উন্নয়নের বিষয়ে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। এছাড়া আজ রাত ৮টায় মাননীয় উপাচার্য মহোদয় জুমে লুপাস ফাউন্ডেশন অফ বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সভায় অংশগ্রহণ করবেন।
এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভেনশন সেন্টারে আজ শনিবার ৮ মে ২০২১ইং তারিখে চলমান কঠোর লকডাউনের মাঝেও মোট ১৫৫০ জন কোভিড ১৯ এর দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন। গত ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ৫৪ হাজার ৫ শত ৬৪ জন এবং আজ ৮ মে ২০২১ইং পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন ৩৫ হাজার ৮ শত ৫৪ জন। এই কেন্দ্রে আজ শনিবার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমরান কবির, বাংলাদেশ ডাক বিভাগের পোস্ট মাস্টার জেনারেল জনাব আব্দুল্লাহ আল মাহবুবুর রশীদ, তাঁর সহধর্মিনী প্রফেসর সাবরিনা ইশরাত প্রমুখ টিকা নিয়েছেন। বেতার ভবনের পিসিআর ল্যাবে আজ ৮ মে  ২০২১ইং পর্যন্ত পর্যন্ত ১ লক্ষ ৩৯ হাজার ৮ শত ৪ জনের কোভিড-১৯ টেস্ট করা হয়েছে। বেতার ভবনের ফিভার ক্লিনিকে আজ ৮ মে  ২০২১ইং পর্যন্ত ৯৪ হাজার ৪ শত ১০ জন রোগী চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন। অন্যদিকে করোনা ইউনিটে আজ শনিবার ৮ মে সকাল ৮টা পর্যন্ত ৮ হাজার ৫ শত ৪৫ জন রোগী সেবা নিয়েছেন। ভর্তি হয়েছেন ৪ হাজার ৮ শত ২২ জন। সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ৪ হাজার ৮৪ জন। বর্তমানে ভর্তি আছেন ৯০ জন রোগী এবং আইসিইউতে ভর্তি আছেন ১২ জন রোগী। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৪ জন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের
সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোঃ মাহমুদুর রহমানের মৃত্যুতে
মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ এর শোক প্রকাশ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোঃ মাহমুদুর রহমান ৭ মে ২০২১ইং তারিখ দিবাগত রাত ১২টা ৩০ মিনিটে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর।  তিনি স্ত্রী, ২ পুত্র সন্তানসহ গুণী শিক্ষার্থী, আত্মীয়-স্বজন ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যুত গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ। এক শোক বিবৃতিতে তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন ও  শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোঃ মাহমুদুর রহমান করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের করোনা সেন্টারে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁর অবস্থার অবনতি হলে গত  ৩ মে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। ডা. মোঃ মাহমুদুর রহমানের গ্রামের বাড়ি সিলেট জেলায়। তিনি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের ২০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।  উল্লেখ্য, এর আগে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু সার্জারি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ডা. গাজী জহিরুল হাসান মারা যান। ছবি: মোঃ আরিফ খান।  নিউজ: প্রশান্ত মজুমদার। সার্বিক তত্ত্বাবধানে মিডিয়া সেল।