ঢাকা, বুধবার, ১৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইমাম হত্যা: আপিলে একজনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন

রাজধানীর রমনা থানা মসজিদের ইমাম মো. ইসহাক হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামির মধ্যে একজনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ বেঞ্চ এ রায় দেন। রায়ে তাকে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফরিদ আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।

২০১০ সালের ২০ ডিসেম্বর মো. ইসহাককে অপহরণের পর হত্যা করা হয়। পত্রিকার মাধ্যমে এক অজ্ঞাতনামা লাশের খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন ভাই শুয়াইব। পরে তিনি বাদী হয়ে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে রমনা থানায় অপহরণ মামলা করেন।

মামলার তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ৯ এপ্রিল পাঁচজনকে আসামি করে প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। এতে বলা হয়, লবণ কেনাবেচাকে কেন্দ্র করে আসামি আবদুর রহিমের সঙ্গে ইসহাকের বিরোধের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে আসামি ইকরাম, মুরাদসহ অন্য আসামিরা তাকে অপহরণ করে। পরে রাজধানীর শেওড়াপাড়ার একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যা করে।

এরপর ২০১১ সালের ২১ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মোতাহার হোসেন আসামি আবদুর রহিম সরদার, কাজী বায়েজিদ, ইকবাল ওরফে মাসুদ ও মুরাদ হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড এবং মো. নাজিমুদ্দিনকে (৪০) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

আপিলের পর ২০১৩ সলের ৭ ফেব্রুয়ারি তিনজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে দুই আসামিকে খালাস দেন হাইকোর্ট। মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা আসামিরা হচ্ছেন কাজী বায়েজিদ, ইকরাম খান ও মুরাদ হোসেন। খালাস পাওয়া দুজন হলেন আবদুর রহিম সরদার ও মো. নাজিম উদ্দিন।

এর বিরুদ্ধে আপিল করেন বায়েজিদ। তার আপিল শুনানি শেষে এদিন রায় দেন আপিল বিভাগ। তবে অন্য দুই আসামির আপিলের বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।