
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব, সাবেক মন্ত্রী ও ডাকসুর সাবেক জিএস জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু মারা গেছেন।
শনিবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম মিলন।
গত ৬ সেপ্টেম্বর তার করোনা ধরা পড়ে। এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত সিলেট-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিকের পক্ষে প্রচারণা চালাতে পাঁচদিন তিনি সিলেটে অবস্থান করেন। পরে ঢাকায় ফিরে অসুস্থবোধ করলে তার করোনা পরীক্ষা করানো হয়।
পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হলে ৬ সেপ্টেম্বর তাকে ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখানে অবস্থার অবনতি হলে একদিন পর তাকে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের আইসিইউতে নেয়া হয়।
তিনি আগে থেকে অ্যাজমা ও হার্টের জটিলতাসহ নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। করোনা শনাক্তের পর ফুসফুস মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হয় তার।
তার মরদেহ এখন হাসপাতালেই রাখা আছে। জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতারা কিছুক্ষণের মধ্যেই বৈঠকে বসবেন। এরপর জানাজা ও দাফনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
আশির দশকে তৎকালীন বাসদ সমর্থিত ছাত্র সংগঠন থেকে তিনি ডাকসুর জিএস নির্বাচিত হন। জিএস থাকাকালীনই সাবেক স্বৈরশাসক এইচ এম এরশাদের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা পরে উপমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও প্রভাবশালী মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
দু’বারের সংসদ সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু দু’দফা জাতীয় পার্টির মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন। জাতীয় পার্টিকে মহাজোটে আনার ব্যাপারে তার ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম স্ত্রী ফিরদা আখতার ২০০৫ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে কয়েক বছর আগে এইচ এম এরশাদের ভাগ্নি টুম্পাকে বিয়ে করেন বাবলু।
উল্লেখ্য, গত বছর জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর ছোট ভাইও করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।