
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে (২৩ ই মার্চ) সুশীল ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত আইনশৃঙ্খলার অবনতির প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। উক্ত কর্মসূচিতে বাংলাদেশ মুসলিম সমাজের চেয়ারম্যান মাসুদ হোসেন বলেন, দেশ গভীর সংকটে। এক দিকে সাংবিধানিক সংকট আরেক দিকে বহিঃশত্রুদের ষড়যন্ত্র। ৩ আগস্ট ক্যান্টনমেন্টে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সেনাবাহিনী ছাত্র জনতার পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় ৫ই আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তার নেতারা পালাতে বাধ্য হয়। এজন্য সেনা প্রধান ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। ৫ আগস্ট এর পরে দেশের রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব রাজনীতিবিদদের। কখন নির্বাচন হবে, কোন দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে, কোন দল পারবে না সেটা নির্ধারণ করবে দেশের জনগণ ও রাজনীতিবিদরা। সেনাবাহিনীর দায়িত্ব হল দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করা। মিয়ানমারের আরাকান থেকে আসা ২০ লক্ষ রোহিঙ্গার অন্য অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান আমাদেরকে বহন করতে হচ্ছে। পার্বত্য অঞ্চল খাগড়াছড়ি বান্দরবান রাঙ্গামাটি কক্সবাজার সেন্টমার্টিন চট্টগ্রাম ফেনী নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এ অবস্থায় সেনাবাহিনী কে আমাদের বহিঃশত্রু কারা, এদেশে তাদের বন্ধু কারা এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস সারা পৃথিবীব্যাপী সমাদৃত সম্মানিত ব্যক্তি তাকে কাজে লাগিয়ে দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত করে দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত মজবুত করতে পারেন এটি আপনাদের কাজ। আশা রাখি আপনারা আপনাদের কাজের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবেন।
তিনি ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বলেন, সেনাবাহিনী রাষ্ট্রের স্তম্ভ কোন অবস্থাতেই সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করা যাবে না। ৫ই আগষ্টের পর এখন সময় নতুন বাংলাদেশ গড়ার। আর নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে ৭২ এর সংবিধান ছুড়ে ফেলে দিয়ে গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে। সেই সাথে জুলাই আগস্টে ছাত্র জনতা গণহত্যার দায় সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগকে দলগতভাবে বিচারের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলেই আদালত কর্তৃক আজীবনের মত সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হয়ে যাবে। পৃথিবীর ইতিহাসে উদাহরণ নেই গণঅভ্যুত্থানের পরে পরাজিত শক্তি পুনরায় ফিরে এসেছে রাজনীতি করতে পেরেছে, নির্বাচন করতে পেরেছে। অতএব কথা পরিষ্কার আওয়ামী লীগ কে এদেশের জনগণ নির্বাচন তো অনেক দূরের কথা আর রাজনীতির মাঠে দেখতে চায় না।
সুশীল ফোরামের সভাপতি মোহাম্মদ জাহিদের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব জনাব আব্দুস সালাম আজাদ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, ইসলামী ঐক্য জোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা শওকত আমিন, জাস্টিস পার্টি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মজুমদার, এনডিপির মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈসা, শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম ফয়েজ হোসেন সহ সুশীল ফোরামের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।