
২৬ অক্টোবর বাফুফের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৯ নভেম্বর প্রথম নির্বাহী সভায় মনোনীত করা হয় ১২টি স্ট্যান্ডিং ও ১৩টি অ্যাডহক কমিটির চেয়ারম্যান। বাফুফের স্ট্যান্ডিং কমিটির মেয়াদ চার বছর থাকলেও এবারই প্রথমবারের মতো প্রাথমিক মেয়াদ এক বছর নির্ধারিত হয়েছে (ফিন্যান্স ছাড়া) ওই সভায়।
বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় নারী ফুটবল। সেই নারী ফুটবলের কমিটিও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ হয়নি। বিগত মেয়াদে নারী কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন মাহফুজা আক্তার কিরণ। তিনি এখনও সেই দায়িত্বে রয়েছেন। নারী ফুটবলে কোচ মনোনয়ন ও আনুষাঙ্গিক বিষয়ে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক সভা হয়নি। তিনিই কাজ পরিচালনা করছেন এককভাবে। জাতীয় দল, নারী উইং, মেডিক্যালসহ আরও কয়েকটি কমিটির পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ হয়নি। আবার ঘরোয়া ফুটবল চললেও চেয়ারম্যানই মনোনীত হয়নি গ্রাউন্ডস এবং রেফারিজের মতো গুরুত্বপূর্ণ কমিটির।
আজ ১০ সদস্য বিশিষ্ট কম্পিটিশন কমিটি প্রকাশ হয়েছে। এই কমিটির চেয়ারম্যান মনোনীত হয়েছেন সাবেক জাতীয় ফুটবলার ও নির্বাহী সদস্য গোলাম গাউস। কমিটির বাকি ৯ জনের মধ্যে সাতজনই সাবেক ফুটবলার। ইমতিয়াজ আহমেদ নকীব, ইকবাল হোসেন, জালাল, শহীদ হোসেন স্বপন, আতা ও মাহমুদা চৌধুরি অদিতি। সংগঠক আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদোয়ানের সঙ্গে রয়েছেন আরামবাগ ক্লাবের সভাপতি তাজওয়ার আউয়াল। যিনি বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালের ছোট ভাই।
৯ নভেম্বর নির্বাহী কমিটির সভায় গোলাম গাউস ও বিজন বড়ুয়াকে স্কুল ফুটবলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। দুই জন পৃথকভাবে ৩২ জেলায় স্কুল ফুটবল নিয়ে কাজ করবেন। বিজন বড়ুয়া ইতোপূর্বে এককভাবে এই কমিটি পরিচালনা করেছেন। সারা দেশব্যাপী স্কুল ফুটবল পরিচালনার অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও অর্ধেক দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি। আবার গাউসও অর্ধেক দায়িত্ব পালনে অপরাগতা প্রকাশ করেন। এজন্য এই কমিটির দায়িত্ব এখন পড়তে যাচ্ছে বাফুফের সহ-সভাপতি নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর ওপর।