ঢাকা, সোমবার, ৯ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হোয়াইট হাউসে বাইডেন-ট্রাম্প বৈঠক, ইউক্রেন-মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে আলোচনা

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। স্থানীয় সময় বুধবার (১৩ নভেম্বর) হোয়াইট হাউস এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

বিভিন্ন নীতি নিয়ে গভীর মতবিরোধ সত্ত্বেও দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ক্ষমতার মসৃণ হস্তান্তর নিশ্চিত করতে হোয়াইট হাউসে সৌহার্দ্যপূর্ণ এই বৈঠকে অংশ নেন এবং সেখানে ইউক্রেন এবং মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে আলোচনা করেন।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

গত ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবারও বিজয়ী হন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর এর মাধ্যমে দেশটির প্রায় আড়াইশো বছরের ইতিহাসে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে এক মেয়াদের বিরতিতে দ্বিতীয়বারের মতো হোয়াইট হাউসে ফিরতে চলেছেন সাবেক এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট।

অবশ্য নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জিতলেও ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি। আর এর আগে মসৃণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর নিশ্চিত করতে বুধবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে বৈঠকে বসেন বাইডেন ও ট্রাম্প।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জ্যঁ-পিয়েরে সাংবাদিকদের বলেন, “আমেরিকান জাতি ও বিশ্ব যেসব গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নিরাপত্তা এবং অভ্যন্তরীণ নীতি সংক্রান্ত সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে সেগুলো নিয়ে উভয় নেতা আলোচনা করেছেন। সত্যিই খুব সৌহার্দ্যপূর্ণ ও ভালো আলোচনা হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, বৈঠকটি প্রায় দুই ঘণ্টা স্থায়ী হয়।

এদিকে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান সাংবাদিকদের বলেছেন, ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ভালো বলে যুক্তি দিয়েছেন বাইডেন। কারণ আমেরিকাকে যুদ্ধে জড়ানো থেকে রক্ষা করবে শক্তিশালী এবং স্থিতিশীল ইউরোপ।

অন্যদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দ্রুত শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প। ট্রাম্প নিউইয়র্ক পোস্টকে বলেছেন, তিনি এবং বাইডেন তাদের কথোপকথনের সময় “মধ্যপ্রাচ্য সম্পর্কে খুব বেশি কথা বলেছেন”।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের নবনর্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার বিজয়ীর বেশে ওয়াশিংটনে আসেন এবং বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে সাক্ষাতের জন্য গত চার বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো হোয়াইট হাউসে যান।

এর আগেই অবশ্য নির্বাচনে জয়ের পর ঐতিহ্য মেনে ট্রাস্পকে হোয়াইট হাউসে সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।