ঢাকায় আমাদের ১৬ নং নন্দলাল দত্ত লেন (ছাত্র ম্যাচ) এক বিকেলে আমি আর হামিদ (পাবনার ম্যাচমেট) মেসের দোতলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলাম। নারিন্দা থেকে একটা রিক্সা ১৭ নম্বর বাসা বরাবর দাঁড়ালো। রিক্সা থেকে একরকম লাফিয়ে নেমে দৌড়ে বাসায় গিয়ে ঢুকলো একটা মেয়ে। আমি খুব ভালোভাবে মেয়েটিকে দেখতে পাইনি। তবে যেভাবে দেখেছি সেভাবেও কোনোদিন কোনো মেয়েকে আমি নজর তুলে দেখিনি। আমার বন্ধুটি বলল, মেয়েটি কয়েকদিন হলো এ বাসায় এসেছে। ঐ বন্ধুই নীরবে কয়েকদিন ধরে মেয়েটিকে অনুসরন করছে, যা অল্প কথায় বোঝা গেল। পাশের ১৭নং বাসার কামাল ও খোসাল আমাদের পরিচিত। তারা দুই ভাই, তিন বোন। আমাদের মেসের কেউ ওই বাসার মেয়েদের বিরক্ত করতো না। মেস মালিক কলিমউল্লাহ ভাই সবাইকে এ ব্যাপারে শুরুতেই সতর্ক করে দিয়েছিলেন। কাজেই তাদের সঙ্গে আমাদের একটা সৌজন্যমূলক সম্পর্ক বজায় ছিল।
পরের দিন আবারো বিকেল পাঁচটার মধ্যে বারান্দায় এসে দাঁড়ালাম । দেরিতে হলেও কালকের দেখা ওই মেয়েটিকে রিক্সা থেকে নামতে দেখলাম, হাতে বই-খাতা। এবার আমি ভালো করে মেয়েটিকে দেখলাম। মেয়েটি কোনোদিকে না তাকিয়ে সোজা গিয়ে বাসায় ঢুকলো। হানিফ মেয়েটি সম্পর্কে বলল- ‘যতটা শুনেছি, মেয়েটি ওর মামার বাড়িতে উঠেছে কয়েকদিনের জন্য, সিট পেলে হোস্টেলে চলে যাবে।’ সে কামালের কাছে এ কথা শুনেছে বলে জানালো। বুঝতে পারলাম, আমি ছাড়া মেসের অন্য সবাই মেয়েটিকে গোপনে অনুসরণ করছে। আমি যখন ছুটিতে গ্রামের বাড়ি, তখন মেয়েটি ওর মামার বাড়িতে এসে উঠেছে, ইডেন কলেজে পড়ে।
কিন্তু আমার এ কি বিচিত্র অনুভূতি, বারবার মেয়েটার কথা মনে পড়তে লাগলো। ধারণা করছিলাম, মেয়েটি হয়তো ইন্টারমিডিয়েটে পড়ে। আমার এসব বিছিন্ন ধারণা মন থেকে ঝেড়ে ফেলতে চাইলাম। কোথাকার কে, কেমনই বা তার পরিবার, তাছাড়া শহরের মেয়ে। মনকে প্রবোধ দিলাম, আমি আর ওই মেয়েকে নিয়ে ভাববো না। এমনিতেই আমার নিজের মধ্যে চিরকুমার থাকার একটা গোপন বাসনা ছিল। বিয়ে-শাদী করবো না কোনোদিন। দাদার মনোকামনা পূরণ করতেই হবে আমাকে। নইলে রাজনীতির মধ্যেই থাকবো আজীবন, সেখান থেকেও মানুষের সেবার সুযোগ পাবো। আমি জানতাম, সিএসপি (সিভিল সার্ভিস অফ পাকিস্তান) বা ইপিসিএস (ইস্ট পাকিস্তান সিভিল সার্ভিস) পরীক্ষা দেয়া অথবা পাশ করার মতো মেধা আমার নেই। এখন ভাবি অন্য কোনো কিছুতে মনোনিবেশ না করে যদি পড়ালেখা নিয়েই ব্যস্ত থাকতাম, তা হলে হয়তো সুপিরিয়র সার্ভিসের ওইসব পরীক্ষা দেয়া সম্ভব হতো, পাশ-ফেল পরের কথা। এসব ভেবে নন্দলাল দত্ত লেনের ১৭ নম্বর বাড়ির ওই অপরিচিত মেয়েটির কথা মন থেকে মুছে ফেলতে চাইলাম।
বেশ কয়েকদিন পরের কথা, এক সকালে আমি হাউজের পানি দিয়ে গোসল করার জন্য মেসের নিচতলায় খালিগায়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। আমার আগে অন্যজন গোসল করছিলেন। ১৬নং নন্দলাল দত্ত লেন মেসের এক তলায় বেশ বড় একটা পানির হাউজ, একসঙ্গে চার/পাঁচজন গোসল করা যায়। হঠাৎ ১৭ নম্বর বাড়ির দিকে নজর পড়তেই সেই মেয়েটিকে আবার দেখলাম। মেয়েটি তিন তলার ছাদের রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে অপলক দৃষ্টিতে আমাকে দেখছে। আমি ভীষণ লজ্জা পেলাম। ও কিন্তু ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকলো, আর রেলিং-এর উপর আনমনে আঁকাজোকা করছিল। কোনোকিছু আড়াল বা গোপন করতে গেলে, আমরা যেমন নখখুটি বা মাথা চুলকাই, তেমনি মেয়েটির রেলিংয়ের উপর অনাবশ্যক আঁকাজোকা শুধুই যে অভিনয় ছিল, তা বুঝতে আমার খুব বেশি সময় লাগেনি। সে যতক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিল, ততক্ষণ বারান্দার একটা বেঞ্চে বসে গভীর মনোযোগ দিয়ে ওকে দেখছিলাম। ও চলে যাবার পর, আমি গোসল সেরে রুমে গেলাম। মনে মনে ভাবলাম, মেয়েটি কি অন্য কারো অপেক্ষায় এতক্ষণ দাঁড়িয়েছিল?
আমি কলেজের ক্লাসে আগে ভাগে যেতাম, বেঞ্চের প্রথম লাইনে বসার সুযোগ নিতে। ছাত্রীদের আসন ছিল এক পাশে। ক্লাসে ছাত্রী ছিল ৪০/৫০ জন। এদের মধ্যে অধিকাংশই সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের। আমি ছাড়া ক্লাসের অন্য ছাত্ররা মেয়েদের সঙ্গে কথাবার্তা বলতো এবং কেউ কেউ হাসি-তামাশাও করতো। মেয়েদের সঙ্গে কথা বলতে আমার ইচ্ছা থাকলেও লজ্জা করতো। ইসলামপুর রোডে একটা মেয়ের সঙ্গে কথা বলতাম মাঝে মাঝে। নাম সবিতা কর্মকার। ওর সঙ্গে আমার পরিচয় অনেকটা কাকতালীয়, যদিও জগন্নাথ কলেজে আমরা একই ক্লাসে পড়তাম। আমরা কয়েক বন্ধু মিলে হারমোনিয়াম কেনার জন্য একদিন ইসলামপুর গেলাম। অনেক দোকান ঘুরে ফিরে শেষে এক দোকানে আমার সেই সহপাঠি মেয়েটির সাক্ষাৎ পেলাম। তখনো জানতাম না, সে আমাদের কলেজে আমার সঙ্গেই পড়ে। মেয়েটির বাবার নাম যতীন কর্মকার। যতীন বাবু নিজেই হারমোনিয়াম তৈরি করে বিক্রি করতেন। অবসর সময়ে ওনার মেয়েও দোকানে বসতো। আমরা হারমোনিয়াম দেখে দরকষাকষি করছি এমন সময় মেয়েটি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলল- ‘আপনি তো আমার ক্লাসে পড়েন।’ এ কথা শুনে তার বাবা আমাদের বেশ খাতির করলেন। চা, মিষ্টি খাওয়ালেন। সেই থেকে ক্লাসে সবিতার সঙ্গে আমার অল্পবিস্তর কথা হতো।
নন্দলাল দত্ত লেনের ১৭ নম্বর বাড়ির মেয়েটার সঙ্গে প্রায় প্রতিদিনই দেখা হতে লাগলো, তবে দূর থেকে। আমি প্রতিদিন খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠি। ভিক্টোরিয়া পার্কে প্রাতঃভ্রমণ শেষে মেসে ফিরি। কোনো কোনো দিন দৌড়াই, আবার কখনো জোরে জোরে হাঁটি।
একদিন ভোরে উঠে দেখি মেয়েটা বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে। তখন আমার সন্দেহ হলো, তবে কি মেয়েটা আমাকে অনুসরণ করে? প্রতিদিন ভোরে উঠেই দেখি মেয়েটা বারান্দায় ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আছে। ওর দাঁড়ানোর ধরন দেখে মনে হতো সে হয়তো কারো জন্য অপেক্ষা করছে।
এভাবে প্রায় এক মাস অতিক্রান্ত হলো। কিন্তু কেউই কথা বলতে পারে না অথবা সুযোগ পায় না এমন অবস্থা। আমার মনে তখন মেয়েটার ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকার ছবি ভাসতে থাকে। কী করি, কী করি সাতপাঁচ ভেবে একদিন রাতে এসে একটা চিঠি লিখলাম। চিঠি তো লিখলাম কিন্তু কিভাবে তার হাতে দিব- সে ভাবনা আর শেষ হয় না। মাথায় কিছু ঢুকছে না।
পরের দিন খুব ভোরে বারান্দায় এসে দাঁড়ালাম, মেয়েটিও এলো খানিকক্ষণ পর। আমি তাকে হাতের ইশারা করলাম। তার মামার বাসার বারান্দা ও আমাদের মেসের বারান্দা একসঙ্গে লাগানো। আমি ইশারা করতেই খুব কাছাকাছি এলো সে, আমি হাত বাড়িয়ে দিলাম, সেও হাত বাড়িয়ে চিঠিটা নিয়ে, তার একটা চিঠি আমার হাতে ধরিয়ে দিল। সত্যি বলতে কী, আমার বিশ্বাসই হচ্ছিল না- নীরব চাহনীর অনুভূতি কত গভীর হতে পারে, আর তা হৃদয়বীণার তন্ত্রীতে তন্ত্রীতে কী সুমধুর সুরধ্বনি তুলতে পারে !
আমি চিঠিটা পকেটে পুরে ভিক্টোরিয়া পার্কের দিকে হাঁটা দিলাম। মনে মনে ভাবছি, কিভাবে ঘটলো এই কাকতালীয় ঘটনা? ঘটনাটি আমাকে রীতিমত বিস্মিত করেছিল বৈকি। যুগপৎ প্রথম যৌথ চিঠি বিনিময়ের এমন ঘটনার নীরব সাক্ষী হয়েই রইলাম।
ভিক্টোরিয়া পার্কের নিভৃত এক কোণে চিঠিটা পড়লাম। চিঠিতে প্রাপকের নাম নেই। লাইনটানা খাতার চারপাতা জুড়ে লেখা দীর্ঘ চিঠি।
মেয়েটি চিঠির শুরুতে লিখেছে, সে ইডেন কলেজে বাংলায় অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়ে। আপাতত মামার বাসায় থেকে কলেজে যাতায়াত করছে। হোস্টেলে সিট পেলেই চলে যাবে। চিঠিটা পড়ে বেশ অবাক হলাম। আমার ধারণা ছিল, খুব সম্ভবত ইন্টারমিডিয়েটের ছাত্রী হবে হয়তো। ওই মুহূর্তে চিন্তা করলাম, এ পথে আর পা বাড়াবো না। কারণ, সে আমার সমবয়সী। দুটো বিষয়ই আমার জন্য বেমানান। এরপর থেকে আমি আর বারান্দায় অপেক্ষার প্রহর গোনা ছেড়ে দিলাম। কখনো দৈবাৎ তার চোখে চোখ পড়লে দৃষ্টি ফিরিয়ে নিতাম। বুঝতাম, সে আমার সঙ্গে কথা বলতে চায়। হয়তোবা নিজের কিছু কথা বলতে চায়। দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়ে গেলাম। কী করবো ভাবছিলাম। একসময় আমার মেসমেট হানিফকে বিস্তারিত জানাই।
ওর চিঠির কথাগুলো আমার কানে বাজতো সবসময়। ওটাই ওর মনের কথা, এই ভাষার অনেক তাৎপর্য। তাই আমি সরে আসতে চাইছিলাম। তাছাড়া দাদা আমার বিয়ের সম্বন্ধ নিয়ে মার সঙ্গে কথা বলেছিলেন। মা বলেছিলেন- ‘মান্নান লেখাপড়া শেষ করে বিয়ের কথা যখন বলবে, তখনই পাত্ৰী দেখবো।’
হঠাৎ একদিন মেয়েটি আবার চিঠি পাঠায়। খুব তাড়াতাড়ি দেখা করতে চায় আমার সঙ্গে। ফিরতি চিঠিতে তাকে নবাবপুর রোডের দিল্লি হোটেলে সাক্ষাতের সময় দেই, পাঁচদিন পর সকাল ১০টায়। কিন্তু নিজে না গিয়ে বন্ধু হানিফকে পাঠাই তার সঙ্গে কথা বলার জন্য। দিল্লি হোটেলে হানিফের সঙ্গে দীর্ঘ কথা হয় তার। হানিফ মেসে এসে খুব বকাবকি করে বলে- ‘তুই গেলি না কেন? মেয়েটি তো খুব ভালো।’ তাড়াতাড়ি দেখা কর ওর সঙ্গে।
মেয়েটি আবার চিঠি পাঠায় দেখা করার আগ্রহ জানিয়ে। উত্তরে আমি জানাই ‘আপনি হোস্টেলে যান আগে, পরে দেখা করার দিন-তারিখ ঠিক করা যাবে।’ তখনো আমার সিদ্ধান্তে অটল আমি। এভাবে তাকে এড়িয়ে যেতে চেয়েছি। যদি আস্তে আস্তে কেটে পড়ে, তাহলে ভালো। আমিও হাঁফ ছেড়ে বাঁচতে পারি। মাসখানেক হলো পড়ালেখায় মন বসছে না।
অনেক চিন্তা-ভাবনা করে, তাকে ১৯৭১ সালের ৬ মার্চ সকাল দশটায় ঢাকা মিউজিয়ামের সামনে আসতে বললাম। আমি পৌনে ১০টায় উপস্থিত হয়ে তার অপেক্ষায় থাকি এবং একটা বেবী ট্যাক্সি (এখনকার তিন চাকার অটোরিক্সা, তবে মিটার ছিল না) সারাদিনের জন্য রিজার্ভ নিই। কিছুক্ষণ পর মেয়েটা এসে উপস্থিত হয়। আমি তাকে রিজার্ভ করা বেবী ট্যাক্সিতে বসতে বলি।
আজকেই কোনো মেয়ের সঙ্গে আমার প্রথম কথা হলো। উত্তেজনায় গলা কাঁপছিল। কোনো মতেই স্বাভাবিক হতে পারছিলাম না। শুধু মনে হচ্ছে কী কথা বলবো, কেমন করে বলবো। বেবীট্যাক্সির চালককে আগেই বলে রেখেছিলাম, মিরপুর চিড়িয়াখানায় বেশিক্ষণ থাকবো। তারপর রেস্টুরেন্টে জলখাবার খাবো।
সারা রাস্তা আমরা দু’জন দু’জনের দিকে তাকিয়ে থাকলাম। মুখে কোনো কথা নেই। ও আমাকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে। তখন মিরপুর চিড়িয়াখানা সবেমাত্র যাত্রা শুরু করেছে। বাঘ, ভালুক, সিংহসহ অনেক হিংস প্রাণী যেমন খাঁচায় বন্দি, তেমনি নিরীহ পশু-পাখি উন্মুক্ত ঘুরে বেড়াচ্ছে। চিড়িয়াখানার সীমানা প্রাচীর নেই। আর দর্শনার্থীদের জন্য নেই কোনো প্রবেশ মূল্য। আমরা নিরিবিলি পুকুর পাড়ে একটা কাঁঠাল গাছের ছায়ায় বসলাম। সেদিন আমার গায়ে জ্বর, গলায় একটা বড় রুমাল পেঁচানো ছিল।
নীরবতা ভেঙ্গে জিজ্ঞেস করলাম, তোমরা কয় ভাই-বোন? তারা কে, কী করে? সে বিস্তারিত বলতে শুরু করলো। বেশ গুছিয়ে কথা বলতে পারে মেয়েটি। তাদের সংসারের আদ্যোপান্ত ইতিহাস বলল। আমি বিশেষ মনোযোগ সহকারে শুনছি আর মাঝে দু’একটা কথা ধরে দিচ্ছি। এভাবে প্রায় আড়াই ঘন্টা কেটে গেল। এদিকে ক্ষুধায় পেট জ্বলছে। সঙ্গে করে কোনো খাবারও নিয়ে আসিনি রেস্টুরেন্টে খাবো বলে। তখন চিড়িয়াখানার তল্লাটে খাবারের দোকান ছিল না, একেবারে মরুভূমি। ছোলা বা বাদাম ভাজা ছাড়া আর কিছু নেই । আমি মেয়েটিকে দেখছি আর ভাবছি, বেশভূষা, চলনে বলনে আভিজাত্যের ছাপ। অনার্সে পড়ে, আমার এক ক্লাস উপরে, ভালো ছাত্রী। আর আমার তেমন মেধা নেই, আবার খুব ভালো ছাত্রও নই। এসব নানান প্রশ্ন মনের মধ্যে আকুলিবিকুলি করছে। কোনোভাবেই তার সঙ্গে এ্যাডজাষ্ট হওয়ার কথা নয়। অথচ ছাড়তেও পারছি না। কী এক মানসিক যন্ত্রণা বলে বোঝানো যাবে না। আমি ওর সঙ্গে খুব কম কথা বলছিলাম। ওদিকে ওর মুখেতো কথার খই ফুটছিল। অনর্গল বলে চলেছে সে।
বিকাল ৩টার দিকে আমরা মিরপুরে হযরত শাহ্আলী (রহঃ)-এর মাজার জিয়ারত করি এবং ঘন্টাখানেক সেখানে থেকে আবার বেবী ট্যাক্সি নিয়ে ওকে ইডেন কলেজের গেটে নামিয়ে দিয়ে মেসে ফিরে আসি। হানিফ আমার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল আমাদের প্রথম দিনের কাহিনী শোনার জন্য। হানিফ সরাসরি জানতে চাইলো কেমন লাগলো মেয়েটিকে। আমি এক কথায় উত্তর দিলাম ভালো। তবে সে তো অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে পড়ে।
লেখক: সাহিত্যিক ও নাগরিক ঐক্যের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রউফ মান্নান