বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টির আহ্বায়ক এম এ আলীম সরকার ৯ নভেম্বর শনিবার এক বিবৃতিতে বলেন, আজকের প্রয়োজন নতুন রাজনীতি এবং নতুন রাজনৈতিক নেতৃত্ব। রাজনৈতিক দলগুলোর দুর্বলতার জন্য, রাজনীতি নেতাদের জনবিচ্ছিন্নতার সুযোগে সেনাবাহিনীর লোকেরা ক্ষমতায় আসছিলেন। এই কথাটা স্বীকার করে নিয়ে রাজনীতি দলগুলোর এবং বিভিন্ন দলের নেতারা ক্ষমতায় এসে তারা উন্নয়নমূলক কাজ করেছে। রাজনীতির দুর্বলতার চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটেছে। রাষ্ট্রীয় জবরদস্তি ও রাজনৈতিক কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সরকারের অফিসে কর্তৃত্বশীল দুর্নীতির কারণে দেশের অর্থনীতির অবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিদেশে অর্থ পাঁচার, ব্যাংকগুলোর দুর্গতি ও ঋণখেলাপিদের কর্তৃত্ব এবং ব্যাংকগুলোর মালিকদের দূরভিসন্ধি অর্থ আত্মসাৎতের কারণে সরকার এবং জনগণের আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। দ্রব্যমূল্যে বেড়ে বেড়ে যে অবস্থায় পৌঁছেছে, তাতে নিম্নপর্যায়ের ৫০ শতাংশ মানুষ চরম দুর্গতির মধ্যে পড়েছে। এই অবস্থায় রাষ্ট্র জাতি ও জনজীবনের সার্বিক কল্যাণে সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি নিয়ে তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্বাভাবিক উন্নতিশীল অবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বাংলাদেশ এখন ঋণগ্রস্ত। যতটা সম্ভব স্বল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশকে ঋণ মুক্ত হতে হবে। সিন্ডিকেটদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। ক্ষমতাশীল কিছু লোকের হাতে যেভাবে অর্থ সম্পদ, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি কেন্দ্রীভূত হয়ে আছে, তার ফলে সৃষ্ট সমস্যা সমাধান করতে হবে। নিঃরাজনীতিকরনের পরিকল্পনা ও কার্যক্রম থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে হবে। বাংলাদেশে এখন কোনো নেতা নেই। সর্বজনীন কল্যাণে কাজ করার মতো কোনো রাজনৈতিক দল এবং নেতৃত্ব নেই। রাষ্ট্রের ও জাতির কল্যাণে এবং জনজীবনের অবস্থাকে উন্নত করার জন্য নতুন রাজনীতি ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব অপরিহার্য। রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে জাতীয় রাজনৈতিক নেতৃত্ব গড়ে তোলা সম্ভব হবে। আমাদের আদর্শ হিসেবে সর্বজনীন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনৈতিক দল গঠনে চূড়ান্ত গুরুত্ব দিতে হবে। রাজনৈতিক দল গঠন করলেই রাজনীতি হয় না, রাজনীতি করার জন্য দূরদৃষ্টি চিন্তা ও চেতনা প্রয়োজন। বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টির তাত্ত্বিক ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক প্রণীত সর্বজনীন গণতন্ত্র ২৮ দফা বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত হলে প্রতিহিংসামুক্ত শান্তিময় সমাজ, রাষ্ট্র ও বিশ্বব্যবস্থা উন্নতিশীল হবে। আমরা সেই ধারায় চিন্তা ও কাজ করছি।