ঢাকা, সোমবার, ৯ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ গঠনে ইসলাম শিক্ষার বিকল্প নাই, শিক্ষার সর্বস্তরে ধর্ম শিক্ষা বহালের দাবি।

অদ্য ৬ নভেম্বর  ২০২৪ বুধবার সকাল ১১টায় বরিশালের এইচ. এস, টি, টি আই মিলনায়তনে  ইসলামি শিক্ষা উন্নয়ন বাংলাদেশ বরিশাল বিভাগের  উদ্যোগে অধ্যাপক মুহাম্মাদ মোয়াজ্জেম হোসাইনের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব অধ্যাপক সাইয়েদ আহমাদের সঞ্চালনায় ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ গঠনে ইসলাম শিক্ষার বিকল্প নেই, শিক্ষার সর্বস্তরে ধর্ম শিক্ষা বহালের দাবিতে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামি শিক্ষা উন্নয়ন বাংলাদেশ মহাসচিব উপাধ্যক্ষ মোঃ আবদুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটং প্রফেসর আবুল কাশেম আবদুল হাকিম মাদানী, ড. মোঃ মহি উদ্দিন,প্রফেসর আজম হাবিবুর রহমান,অধ্যক্ষ মোঃ হাবিবুর রহমান,অধ্যক্ষ আনম আবদুল হালিম,ড. মোঃ মশিউর রহমান । আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন  জনাব মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বরিশালের জেলা শিক্ষাঅফিসার জনাব মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, মোঃ আমিনুল ইসলাম সহকারী অধ্যাপক,মোঃ মোশাররফ হোসেন সহকারী অধ্যাপক,ড.বায়েজিদ হোসেন সহকারী অধ্যাপক,ড. আকরামুজ্জামান নকীব সহকারী অধ্যাপক প্রমমুখ,ইবতেদায়ী স্তরের সংগঠনের দায়িত্বশীলগন- প্রধান অতিথি সহ বক্তাগন বলেন- শিক্ষায় বৈষম্য দূর করা সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব, বক্তারা শিক্ষার সর্বস্তরে ইসলামি শিক্ষা বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।

ইসলামি শিক্ষা উন্নয়ন বাংলাদেশের মহাসচিব উপাধ্যক্ষ মোঃ আবদুর রহমান সহ বক্তারা নিম্ন বর্ণিত ১৬ দফা দাবী পুরণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান – অনতিবিলম্বে শিক্ষায় বৈষম্য দূর করতে হবে-যেমন: বেসরকারী মাদরাসা, কলেজ, হাইস্কুল জাতীয়করণ করতে হবে, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা বিগত ১৬ বছর থেকে মঞ্জুরীর বদ্ধ দ্বার খুলতে হবে, মঞ্জুরী প্রাপ্ত স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদরাসাসমূহকে জাতীয় করণের আওতাভুক্ত করতে হবে, অনতিবিলম্বে স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদরাসা নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে হবে, বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীদের  সরকারী শিক্ষক কর্মচারীদের সমপরিমান উৎসবভাতা, বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা দিতে হবে, মাদরাসার স্বকীয়তা ও যোগ্য আলেম তৈরীর লক্ষ্যে মাদরাসার জন্য আলাদা পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTBM) গঠন করতে হবে, মাদরাসার অনার্স ও মাস্টার্স কোর্সের জন্য শিক্ষক-কর্মচারী বরাদ্ধ ও এমপিওভূক্ত করতে হবে, মাদরাসা পাঠদানরত ২ শতাধিক এমফিল পিএইচ ডি ডিগ্রীধারীগণকে অভিজ্ঞতা শিথীল করে প্রশাসনিক পদে এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠিত দপ্তরে পদায়ন করতে হবে, মাদরাসা বোর্ড, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়, মাদরাসা শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, দেশের ৩টি সরকারী আলিয়া মাদরাসার সকল পদে মাদরাসা ও ইসলামি শিক্ষায় শিক্ষিতদের পদায়ন ও নিয়োগ দিতে হবে, এনটি আর সি এর নিবন্ধন পরীক্ষা ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামি শিক্ষায় অনার্স উত্তীর্নদের অংশ গ্রহনের সুযোগ দিতে হবে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সকল কলেজে ইসলামিয়াত ও অনার্স কোর্স খোলার অনুমতি দিতে হবে, ইসলাম শিক্ষাকে প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মানবিক, বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা,গার্হস্থ্য, অর্থনীতি, কারিগরিসহ সকল শাখায় আবশ্যিক বিষয় এর অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। উচ্চ শিক্ষা পর্যায়ে মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং, তথ্য-প্রযুক্তি, শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও সরকারী উচ্চতর প্রশিক্ষণে এবং বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের প্রতিটি বিভাগে  ধর্ম শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে, শতকরা ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে যোগ্য আলেমগণকে সম্পৃক্ত করে ইমান আকিদা ভিত্তিক ও বিজ্ঞান প্রযুক্তির সমন্বয়ে পাঠ্যক্রম প্রণয়ন ও পাঠ্যপুস্তক রচনা করতে হবে, দেশের অবহেলিত ও বঞ্চিত ৩টি সরকারি আলিয়া মাদ্রাসাকে উন্নয়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে ,প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ,  হাই স্কুলে পূর্বের ন্যায় একজন হেড মাওলানা ও একজন সহকারী মৌলভী নিয়োগের দাবি জানান, দেশের প্রতি জেলা-উপজেলায় একটি করে মাদ্রাসা সরকারীকরণ করার দাবি জানান।