ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাবার বুলেট ব্যবহার করতে বলা হয়েছে, তাহলে এত প্রাণহানি কেন?

ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত মানবিক নেত্রী। ছাত্র আন্দোলনে যেন রাবার বুলেট ব্যবহার করা হয় সেজন্য তিনি পুলিশ, র‍্যাব ও বিজিবিকে স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন। এ রাবার বুলেটে কোনো প্রাণহানি হয় না। তারপরও ছাত্র আন্দোলনে অনেক মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। রাবার বুলেটে যেহেতু মানুষ মারা যায় না, তাহলে এতো মানুষের মৃত্যুর কারণ নিয়েও আমাদের ভাবতে হবে। 

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বিকেলে ফেনী শহরের শহীদ মিনার চত্বরে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত শোক র‍্যালি ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

নিজাম হাজারী বলেন, ছাত্র আন্দোলনে ঢাকাসহ সারা দেশে বিএনপি-জামায়াত যে তাণ্ডব চালিয়েছে তা মানুষ দেখেছে। যারা এসব তাণ্ডব চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে ফেনীর মানুষ এ সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেয়নি। মুষ্টিমেয় যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ফেনীর শান্তি নষ্ট করতে চেয়েছেন তাদের হুঁশিয়ার করে দিতে চাই।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। এটির মাধ্যমে প্রকৃত খুনিদের নাম বেরিয়ে আসবে। যুদ্ধাপরাধী এবং বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মতো তাদের বিচারও এ বাংলার মাটিতে হবে। 

জেলা বিএনপিকে হুঁশিয়ার করে নিজাম উদ্দিন হাজারী বলেন, রামপুরের মতো ছোট একটি এলাকা থেকে বেরিয়ে তারা মহাসড়ক, ইসলামপুর রোড ও তাকিয়া রোডে ভাঙচুর চালায়। আর যদি এই ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম করার চেষ্টা করেন তাহলে রামপুরে গিয়েই আমাদের ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা কঠিন জবাব দেবে। কারো অশান্তির কারণ হলে ছাত্রলীগ-যুবলীগ কঠোরভাবে মোকাবিলা করবে। 

এর আগে কর্মসূচিকে ঘিরে দুপুর থেকে মিছিল নিয়ে পৌরসভা চত্বর ও পিটিআই স্কুল মাঠে জড়ো হন পৌর ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পরে ফেনী পৌরসভা চত্বর থেকে একটি র‍্যালি নিয়ে শহরের ট্রাংক রোড, বড় মসজিদ ও মডেল থানা প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনার চত্বরে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। এ সময় অন্তত ৩০ মিনিট শহরের ট্রাংক রোডে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। 

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট হাফেজ আহম্মদের সভাপতিত্বে ও দপ্তর সম্পাদক একে শহীদ উল্ল্যাহ খোন্দকারের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খায়রুল বশর মজুমদার তপন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল এবং পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী। এ সময় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।