ঢাকা, সোমবার, ৯ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুর্দান্ত বোলিয়ে লঙ্কানদের নাগালে রাখলেন রিশাদ-মুস্তাফিজ

বাংলাদেশ সময় ভোরে শুরু হয়েছে ম্যাচটি, যার সঙ্গে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর মন্তব্য মিলিয়ে নতুন দিনের আশা নিয়ে শুরু। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই আশায় জোর হাওয়া লাগিয়েছেন রিশাদ হোসেন ও মুস্তাফিজুর রহমান। লেগস্পিনে বিশ্বকাপের শুরুটা দুর্দান্ত করেছেন রিশাদ। আরেকপ্রান্তে ফিজ গলার কাঁটা হতে থাকা পাথুম নিশাঙ্কাকে ফিরিয়ে মোমেন্টাম তৈরি করেছেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে লঙ্কানদের সংগ্রহ ১২৪ রান।

ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ১৯০ রানের বেশি দুটি ইনিংস দেখা গিয়েছিল। ফলে এখানে যে রান উঠবে সেই ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। টস জিতে লঙ্কানদের অল্প রানে আটকানোর লক্ষ্যে শান্ত আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। বোলারদের কল্যাণে সেই সিদ্ধান্তটা আপাতত সফলই মনে হচ্ছে, বাকি কাজ সারতে হবে ব্যাটারদের। রিশাদ ও মুস্তাফিজ সর্বোচ্চ ৩ উইকেট আর তাসকিন জোড়া উইকেট নিয়েছেন।

বোলিংয়ে তানজিম হাসান সাকিবকে দিয়ে ইনিংস উদ্বোধন করে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারে ৫ রান দেওয়ার পর পরেরটিতে সাকিব আল হাসান দেন ৮ রান। যদিও সেই ওভারে একটি ওভার থ্রোতে চার পায় লঙ্কানরা। তৃতীয় ওভারে আসা তাসকিনকে দুটি চারে স্বাগত জানান কুশল মেন্ডিস। এরপর তৃতীয় বলটি লেংথে ফেলেছিলেন এই টাইগার পেসার, যাতে মেন্ডিস (১০) দ্বিধান্বিত শট খেলতে গিয়ে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হয়ে যান।

পরের ওভারে সাকিব আক্রমণে ফিরেই পড়েন নিশাঙ্কার তোপের মুখে। চারটি চারের বাউন্ডারি আসে ওভারটিতে। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে প্রথমবার আক্রমণে এসে সফল মুস্তাফিজুর রহমান। তার প্রথম বলেই তুলে মারতে গিয়ে তানজিম সাকিবকে ক্যাচ দেন কামিন্দু মেন্ডিস (৪)। তবে ঠিকই পাওয়ার প্লেতে ৫৩ রান তুলে ফেলে লঙ্কানরা।

মাঝে রিশাদ-মুস্তাফিজরা কিছুটা নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন। তবে নিশাঙ্কা যতক্ষণ আছেন, বোলারদের স্বস্তি থাকার কথা নয়। লঙ্কান ইনিংসের অধিকাংশ রানই যে তার ব্যাটে আসছিল। নবম ওভারে ফিজের কাটারে তুলে মারতে গিয়ে শান্ত’র তালুবন্দী হন এই লঙ্কান ওপেনার। তার আগে ২৮ বলে ৭টি চার ও একটি ছক্কায় তিনি ৪৭ রান করেন। বেশ খরুচে থাকায় আজ সাকিবকে পুরো চার ওভার করাননি শান্ত। ৩ ওভারে উইকেটশূন্য থেকে এই অলরাউন্ডার ৩০ রান দেন।

নিশাঙ্কার বিদায়ের পর আর কোনো লঙ্কান ব্যাটারকেই হুমকি হতে দেননি রিশাদরা। পরপর দুই বলে চারিথ আসালাঙ্কা (১৯) ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে (০) ফিরিয়ে তিনি হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলেন। সেটি না হলেও, বিশ্বকাপের অভিষেক ম্যাচে রিশাদ যা করেছেন এজন্য তিনি নিজেও হয়তো গর্ব করবেন, সঙ্গে পুরো টাইগার ক্রিকেটভক্তরাও। কারণ একজন লেগস্পিনারের জন্য দেশটিকে দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ৪ ওভারে মাত্র ২২ রান খরচায় তিনি ৩ উইকেট নেন। সমান ওভারে ৩ উইকেট নিতে মাত্র ১৭ রান দিয়েছেন মুস্তাফিজ।

ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা (২১) ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসরা (১৬) ক্রিজে সেট হলেও, সেভাবে হুমকি হতে পারেননি। বাকিরা ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। ফলে হার দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করা লঙ্কানদের দ্বিতীয় ম্যাচেও পুঁজি দাঁড়াল বাংলাদেশের নাগালে।