ঢাকা, বুধবার, ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পিটিআইয়ের সরকার গঠন করতে চান ইমরান খান

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ও কারান্তরীণ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার দলের সরকার গঠন করতে চান বলে জানিয়েছেন দলটির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গহর আলী খান। তিনি বলেছেন, ‘‘ইমরান খান পিটিআইয়ের সরকার গঠন করতে চান। আর সেটা কেন্দ্র, খাইবার পাখতুনখোয়া অথবা পাঞ্জাবেও হতে পারে।

ব্যারিস্টার গহর আলী খান বলেন, খাইবার পাখতুনখোয়ায় আলী আমিন গান্দাপুরকে পিটিআইয়ের মুখ্যমন্ত্রী মনোনীত করা হয়েছে। দুই-একদিনের মধ্যে আমরা স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার প্রার্থীও ঘোষণা করব।

পিটিআইয়ের শীর্ষ এই নেতা দাবি করেছেন, তার দল গত ৮ ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে জাতীয় পরিষদের ১৮০টি আসনে জয় পেয়েছে। রাওয়ালপিন্ডিতে আদিয়ালা কারাগারের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পিটিআই চেয়ারম্যান বলেছেন, আমরা ফরম ৪৫ শেয়ার করব। জনগণের ম্যান্ডেটকে সম্মান জানাতে হবে।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পিটিআই প্রধান গহর খান নির্বাচনী ফলাফলের বিরুদ্ধে দায়ের করা পিটিশনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আদালতের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন।

৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে পিটিআইয়ের জয় পাওয়া জাতীয় পরিষদের ১৮০ আসনের বিস্তারিত তথ্যও সাংবাদিকদের দিয়েছেন ব্যারিস্টার গহর খান। এসব বিবরণ শ্বেতপত্র আকারে সরবরাহ করা হবেও বলে জানিয়েছেন তিনি।

♦ গহর খানের সরবরাহ করা তথ্য অনুযায়ী পিটিআইয়ের জয় পাওয়া আসন

• ইসলামাবাদে ৩টি আসন
• বালুচিস্তানের ৪ আসন
• পাঞ্জাবে ১১৫ আসন
• সিন্ধ প্রদেশে ১৬ আসন
• খাইবার পাখতুনখোয়ায়  ৪২ আসন

গহর খান বলেছেন, এভাবে পিটিআই পাকিস্তানে ১৮০টি আসন জিতেছে এবং এটা জনগণের ম্যান্ডেট। এর প্রতি সম্মান জানাতে হবে। আমরা বিচার বিভাগ ও পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনকে (ইসিপি) এর দায় নিতে এবং এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার আহ্বান জানাচ্ছি।

পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, গত ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৯৬টি আসনে জয় পেয়ে এগিয়ে রয়েছে। এ ছাড়া পিএমএল-এন ৭৯ ও পিপিপি ৫৩ আসনে জয় পেয়েছে।

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে (পিটিআই) নির্বাচনে নিষিদ্ধ করা সত্ত্বেও দলটির সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জাতীয় পরিষদের ৯৩টি আসনে জয় পেয়েছেন। পিটিআই-সমর্থিত প্রার্থীদের নির্বাচনী এই ফল পর্যবেক্ষকদেরও অবাক করেছে। দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ৭৫টি আসনে জয় পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তার প্রতি দেশটির প্রভাবশালী সামরিক বাহিনীর সমর্থন ছিল এবং পাকিস্তান ছেড়ে লন্ডনে স্বেচ্ছা নির্বাসনে যাওয়ার পাঁচ বছর পর দেশে ফিরে আসা তিনবারের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীই জয়ী হতে যাচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছিল।

বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৫৪টি আসনে জয় পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। পাকিস্তানের সংবিধানে বলা আছে, রাজনৈতিক দলগুলোকে আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি অথবা নির্বাচনের দিন থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে সরকার গঠন করতে হবে। দেশটির জাতীয় পরিষদে মোট ৩৩৬টি আসন রয়েছে। যার মধ্যে ২৬৬টি আসনে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করা হয়। এ ছাড়া জাতীয় পরিষদে ৭০টি সংরক্ষিত আসন রয়েছে। এর মধ্যে ৬০টি নারীদের এবং ১০টি অমুসলিমদের জন্য সংরক্ষিত। জাতীয় পরিষদে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান অনুযায়ী এসব আসন বণ্টন করা হয়।

সূত্র: জিও টিভি।