নয় পেরিয়ে ১০ম বর্ষে পদার্পণ করল ‘বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন’। টেলিকম খাতের নানা অনিয়ম ও গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষার্থে ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর সংগঠনটি যাত্রা শুরু করে। এরপর গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষা ও দাবি আদায়ে সব সময় সোচ্চার ও সরব ভূমিকা পালন করছে সংগঠনটি।
সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় হোটেল রয়েল-ইন এ শুভেচ্ছা বিনিময় ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়।
এ সময় বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে সংগঠনটি সাফল্য কামনা করা হয়।
মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তির সেবায় গ্রাহকদের স্বার্থ প্রতিনিয়তই লঙ্ঘিত হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশে এ সেবার গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য টেলিযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের কঠোর আইন থাকা সত্ত্বেও গ্রাহকের কোন স্বার্থ রাখা হয়নি।
তিনি বলেন, টেলিযোগাযোগ সেবায় গ্রাহকরা সবচেয়ে বেশি প্রতারিত হচ্ছে। সেই লক্ষ্যে ২০১৪ সালের আজকের এই দিনে যাত্রা শুরু হয় বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। দীর্ঘ দশ বছর আমরা গবেষণা, সভা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, জনসচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন কর্মসূচি, সরকারি পর্যায়ে গ্রাহক স্বার্থে বিভিন্ন দরবার করেছি। শেষে গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষা না করতে পারায় আমরা মহামান্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কিছু সফলতা যেমন আছে, তেমনি অনেক ব্যর্থতাও রয়েছে। সংগঠনের প্রতি মানুষের আকাঙ্খা ও প্রত্যাশা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারি পক্ষ থেকেও আরো অধিকতর ভালো কাজ প্রত্যাশা করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে আমাদের আর্থিক দুর্বলতা এক্ষেত্রে চরম বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ কে এম শফিকুল ইসলাম,সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার সৈয়দ মারগুব মোরশেদ,বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক,প্রফেসর ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান,কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অব্ বাংলাদেশ (ক্যাব)’র ভাইস প্রেসিডেন্ট এস.এম নাজের হোসাইন,জাতীয় তরুণ সংঘের চেয়ারম্যান ফজলুল হক,সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহত পরিবার ফোরামের আহ্বায়ক মনজুর হোসেন ইশা,বাংলাদেশ মোবাইল ফোন রিচার্জ ব্যবসায়ী এসোসিয়েশনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।