
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাধারণ ক্ষমার আওতায় ৭ হাজার ১২ জন কয়েদিকে মুক্তি দিয়েছে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন জান্তা। বুধবার দেশটির সরকারি টিভি চ্যানেল এমআরটিভিতে দেওয়া এক ভাষণে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন জান্তাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইং।
ভাষণে জান্তাপ্রধান বলেন, ‘মিয়ানমারের সাধারণ জনগণকে ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা। বিগত বিভিন্ন বছরের মতো এ বছরও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাধারণ ক্ষমার আওতায় কিছু সংখ্যক কারাবন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সুচির নেতৃত্বাধীন সরকারকে হটিয়ে জাতীয় ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামারিক বাহিনী। সুচিকে গ্রেপ্তার করে অজ্ঞাত কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
সুচির বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলাও দিয়েছে সামরিক সরকার। রাজধানী নেইপিদোর এক সামরিক আদালতে চলছে সেসব মামলার বিচার।
এদিকে, অভ্যুত্থানের পরের দিন থেকেই বিক্ষোভে ফুঁসে ওঠে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী জনতা। রাজধানী নেইপিদোসহ ছোট-বড় বিভিন্ন শহরে শুরু হয় জান্তাবিরোধী আন্দোলন।
আন্দোলনের প্রথম পর্যায়ে দৃশ্যত সংযমের পরিচয় দিলেও পরে তা দমনে নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীদের আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেয় জান্তা সরকার। গত দুই বছরে মিয়ানমারে নিহত হয়েছেন আড়াই হাজারেও বেশি মানুষ।
বুধবারের ভাষণে জান্তাপ্রধান বলেন, ‘আজ দেশের স্বাধীনতা দিবসে আমি মিয়ানমারের আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক মিত্রদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাতে চাই। নানামুখী চাপ, সমালোচনা, হামলা সত্ত্বেও তারা আমাদের পাশে আছেন, সহযোগিতা করছেন— সেজন্য তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।’
গত ৩০ ডিসেম্বর নেইপিদোর সামরিক আদালতে কথিত দুর্নীতির অভিযোগে অং সান সুচিকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে জান্তা মুখপাত্রদের দাবি, স্বাধীন আদালতের সব রকম নিয়মনীতি মেনেই সুচির মামলাগুলোর বিচারকাজ চলছে।
সূত্র : রয়টার্স