ঢাকা, সোমবার, ১৩ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউনিলিভারের পণ্য যে কেউ আমদানি করতে পারবে : হাইকোর্ট

দেশের কয়েকটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান যাতে ইউনিলিভারের পণ্য দেশে আমদানি ও বাজারজাত করতে না পারে এ সংক্রান্ত জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ আদেশের ফলে প্রসাধনী উৎপাদনকারী আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ইউনিলিভারের পণ্য বিভিন্ন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের আমদানির ক্ষেত্রে আইনগত বাধা নেই।

মঙ্গলবার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের তিন বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ এ রায় দেন। বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন, বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দী।

হাইকোর্টের এ রায়ের ফলে এখন থেকে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ও যে কেউ ইউনিলিভারের পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি ও বাজারজাত করার সুযোগ পেলেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার কাজী মাইনুল হাসান।

তিনি বলেন, হাইকোর্টের রায়ে এখন থেকে ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের একচেটিয়া ব্যবসার কর্তৃত্ব খর্ব হলো। এই রায়ে এসব পণ্যের উপর একটি প্রতিযোগিতামূলক বাজার ব্যবস্থার সৃষ্টি হবে।

ব্যারিস্টার মাইনুল হাসান বলেন, রিটকারী প্রতিষ্ঠান আশঙ্কা করেছিল যে, অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এসব প্রসাধনী পণ্য আমদানি সুযোগে ভেজাল পণ্য বাজারজাত হতে পারে। যাতে জনগণের স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। কিন্তু আমরা বলেছি, এসব আশঙ্কা দূর করার জন্য সরকারের বিভিন্ন দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যারা পরীক্ষা নিরীক্ষা করেই এসব পণ্য বাজারজাত করার অনুমতি দিয়ে থাকে।

ইউনিলিভারের পণ্য বাংলাদেশে যাতে আর কোন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আমদানি ও বাজারজাত করতে না পারে এমন নির্দেশনা চেয়ে ২০১০ সালের ৭ অক্টোবর হাইকোর্টে রিট করে ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড। ওই রিটে এনবিআর চেয়ারম্যান, কমিশনার অব কাস্টমস, দেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক এবং সাতটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে বিবাদী করা হয়।

রিটে বলা হয়, ভ্যাসলিন, নর, ডোভ, পেপসোডেন্ট টুথ ব্রাশ, ক্লোজ আপ মিল্ক ক্যালসিয়াম নিউট্রিয়েন্টসহ অন্যান্য ব্র্যান্ডেড পণ্য ও খালি মোড়ক যাতে অন্য কাউকে আমদানি করতে এলসি করার অনুমতি না দেওয়া হয় সেজন্য আদালতের নির্দেশনা চাওয়া হয়। যদি এ সুযোগ দেওয়া হয় তাহলে ব্র্যান্ডেড পণ্যের নামে ভেজাল প্রসাধনী বাজারজাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করে হাইকোর্ট। রুলের পক্ষে ব্যারিস্টার ফিদা এম কামাল ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাইনুল হাসান শুনানি করেন।