ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সার্চ কমিটির হাতে ইসি গঠনের লক্ষ্যে সুপারিশকৃতদের নামের তালিকা ও তালিকায় বর্নিতের লক্ষ্য।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও ব্যক্তি অনুসন্ধান কমিটির কাছে নাম জমা দিয়েছে। এর মধ্যে অনেকের নাম বিভিন্ন সমাজ উন্নয়নমূলক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক জমা প্রদান করা হয়েছে।কমিটি সোমবার তাদের কাছে জমা পড়া নামগুলো (৩২২টি) প্রকাশ করেছে।

বিশিষ্ট নাগরিক, শিক্ষাবিদ ও শিক্ষক, সাবেক বিচারপতি, বিচারক ও আইনজীবী, সাবেক আমলা, সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা এবং অন্যান্য পেষার মানুষ এই তালিকায় রয়েছে।

জনাব মো: আব্দুল হাই, সদস্য সচিব, গামীণ ব্যাংক অবসরপ্রাপ্ত ঐক্য পরিষদ, চেয়ারম্যান, এইচ.এস.এ.বি(আর) লি: এর নাম বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সুপারিশ করা হয়েছে। যার সুবাধে জনাব মো: আব্দুল হাই এর নামও উক্ত তালিকায় অন্তর্ভূক্ত রয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন সম্পর্কে গুরু দায়িত্বের বিষয়টি জনাব মো: আব্দুল হাই চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখেন। দেশের বড় ধরনের উন্নয়নের পরও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে- বিশেষ করে বিএনপির সাথে সরকারি দলের বেশ বড় ধরনের মতবিরোধ অব্যাহত রয়েছে।

নির্বাচন সংক্রান্ত এই মতবিরোধের অবসান হলে দেশের অগ্রগতিকে বিশ্ব যেমন অধিক স্বীকৃতি দিবে তেমনি দেশের মধ্যে অধিক প্রশান্তির সু-বাতাস বহমান থাকবে। সে লক্ষ্যে নতুন গঠিত ইলেকশন কমিশনের কর্মযজ্ঞ অধিক বিচক্ষনতার সাথে করতে হবে। সে জন্য প্রয়োজন বিচক্ষন ও বিবেকবান ব্যক্তি নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন। আশা করা হচ্ছে, বর্নিত নামের তালিকার 322 জনের মধ্য থেকে যোগ্য 10 জনের একটি তালিকা মহামান্য রাষ্ট্রপতির নিকট জমা প্রদান করা হবে। তবে বর্নিত এই যোগ্য 322 জন ব্যক্তিকে কিভাবে নির্বাচনকে আরও অধিক গ্রহনযোগ্য করার কাজে ব্যবহার করা যায় তা নিয়ে ভাবনার প্রয়োজন রয়েছে।

এই ভাবনার ভিত্তিতে বর্নিত 322 জন্য ব্যক্তিকেই নানাহ দায়িত্ব দিয়ে নির্বাচন- বিশেষ করে আসন্ন 12 তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করার উদ্যোগ গ্রহন করা যেতে পারে। দেশের 300 জাতীয় সংসদের আসনের জন্য উক্ত তালিকায় বর্নিতদের 322 জন ব্যক্তিকেই নির্বাচন কমিশনের হয়ে কাজ করার সুযোগ করে দেওয়া যেতে পারে। নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে সময়ে সময়ে গৃহিত কর্মসূচীসমূহ সহ সময়ের তাগিদে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সমূহ নিয়ে তারা সংশ্লিষ্ট জাতীয় সংসদের নির্বাচনি আসনের দায়িত্বে থেকে কাজ করবে। তাদের একটাই লক্ষ্য হবে- সৎ ও যোগ্য ব্যক্তি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করবে এবং সু্ষ্ঠ ও শৃংখলার সাথে নির্বাচন সম্পন্ন হবে। সৎ ও যোগ্য ব্যক্তির নির্বাচনি প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচনে শৃংখলা ধরে রাখা সহজ। সৎ ও যোগ্য ব্যক্তির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বর্নিত 322 ব্যক্তি প্রাথমিক পর্যায়ে কাজ শুরু করবে। নির্বাচনের সময় সু্ষ্ঠভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে।