
জন্মদিন দেশের মাটিতে পারিবারিকভাবে উদযাপন করে গতকাল সকাল ১১টার ফ্লাইটে লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সঙ্গীতশিল্পী রুনা লায়লা। করোনার কারণে বলা যায় প্রায় দীর্ঘ দুই বছর ঢাকাতেই পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে হয়েছে রুনা লায়লাকে। শুধুমাত্র স্বাধীনতার ৫০ বছর উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানেই তিনি অংশগ্রহণ করেছিলেন। এছাড়া করোনার ভ্যাকসিন নেবার জন্য ঘর হতে বের হয়েছিলেন। তাছাড়া আর সাধারণত করোনার এই মাহমারীতে ঘর হতে বের হতে দেখা যায়নি।
এদিকে মেয়ে ও দুই নাতিকে দেখার জন্য তার মন ব্যাকুল হয়ে উঠেছিলো। যদিও প্রতিদিনই তাদের সঙ্গে ভিডিও কলে দেখা হতো। কিন্তু তারপরও মন ভরতো না রুনা লায়লার। তাই এবার ঠিকঠাক মতো লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন তিনি।
রুনা লায়লা বলেন,‘আলহামদুল্লিাহ, এবারের জন্মদিনও বেশ ভালোভাবেই পরিবারের সঙ্গে কাটিয়েছি। খুব সুন্দর সময় কেটেছে। আর দেশ বিদেশের অসংখ্য মানুষের কাছ থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা বার্তা পেয়েছি, এটা সত্যিই অনেক ভালোলাগার ছিলো। মানুষের ভালোবাসাইতো আসলে আমার জীবনের বড় প্রাপ্তি। এক জীবনে আমি মানুষের যে ভালোবাসা পেয়েছি , তাতে ধন্য আমি। আমি মনেকরি আমার জীবন পরিপূর্ণ। আল্লাহর অশেষ রহমত ছিলো বলেই আমি আজকের অবস্থানে আসতে পেরেছি। মা বাবার দোয়া তো ছিলোই। আর দীর্ঘদিন পর মেয়ের কাছে, নাতিদের কাছে যাচ্ছি-সবাই দোয়া করবেন আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে ভালো রাখেন। আপানারাও সবাই ভালো থাকবেন, নিরাপদে থাকবেন।’
‘দর্শকের কাছে আলমগীর সাহেব সবার প্রিয় একজন নায়ক। কিন্তু বাড়িতে বা ঘরেতো তিনি আমার স্বামী। সত্যি বলতে কী তিনি একজন ইউনিক মানুষ। একজন ভীষণ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মানুষ। তাকে আমি সবসময়ই ভীষণ শ্রদ্ধার চোখে দেখি। ভীষণ সম্মান করি। তিনি আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু, আমার চলার পথের সঙ্গী, আমার জীবন সাথী। গানের প্রতি তার প্রবল আগ্রহ রয়েছে। তিনি প্রতিদিনই অনেক গান শুনেন। গান নিয় আমার সঙ্গে নানান ধরনের আলোচনা করেন।’ একজন মহানায়কের সঙ্গে জীবনচলার পথে এমনইভাবে অভিব্যক্তি প্রকাশ করলেন রুনা লায়লা।
একজন সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে রুনা লায়লা যেমন জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ঠিক তেমনি একজন সুরকার হিসেবে যাত্রার শুরুতেই তিনি জাতীয়ভাবে সম্মানীত হয়েছেন। দেশের অনেক শিল্পী যেমন তারসুরে গান গেয়েছেন ঠিক তেমনি দেশের বাইরেরও অনেক প্রতিথযশা শিল্পী তারসুরে গান গেয়েছেন। রুনা লায়লা বলেন,‘ আমি এখনো গান শেখার চেষ্টা করি। কোন ওস্তাদ বা পন্ডিত পর্যায়ের আমি কেউ নই যে কোন প্রতিষ্ঠান করে আমি গান শেখাবো। বরং এটা হতে পারো , সরকারী পর্যায়ে কোন উদ্যোগ নিয়ে কোন গানের প্রতিষ্ঠান করা হলে তারসাথে আমি কোন না কোনভাবে সম্পৃক্ত থাকতে পারি।’ রুনা লায়লা প্রথম সুর করেন আলমগীর পরিচালিত ‘একটি সিনেমার গল্প’ সিনেমায়।