
গত ১৪ সেপ্টেম্বর অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওইদিন আদালতে আদেশের কপি হাতে পাওয়ার সাতদিনের মধ্যে এ আদেশ বাস্তবায়ন করে, তা প্রতিবেদন আকারে আদালতে জমা দেওয়ার জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
আজ মঙ্গলবার আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার জারিন রহমান ও অ্যাডভোকেট রাশিদা চৌধুরী নীলু। বিটিআরসির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নওরোজ মো. রাসেল (এম আর) চৌধুরী।
বিটিআরসি আদালতকে জানিয়েছে, তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে সব নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টালের তালিকা চাওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ তালিকা দেওয়া হয়নি। তালিকা হাতে পেলেই অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধের নির্দেশ
এ জন্য ২ সপ্তাহ সময় প্রয়োজন বলে আবেদন করলে, আদাল তা মঞ্জুর করেন। এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ২৫ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়েছে।
আইনজীবীরা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) হাইকোর্টকে জানিয়েছে, তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে সব নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টালের তালিকা চাওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের কাছে ওই তালিকা দেওয়া হয়নি। সেখান থেকে তালিকা পেলেই অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে আদালতের আদেশ বাস্তবায়নে দুই সপ্তাহের সময় চায় বিটিআরসি কর্তৃপক্ষ। এরপর আদালত এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ২৫ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন।
এর আগে গত ১৬ আগস্ট এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল কেন বন্ধ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ। ওইদিন এক সপ্তাহের মধ্যে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান ও প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলেছিলেন আদালত।
তার আগে, ৫ মে সংবেদনশীল সংবাদসহ যে কোনো খবর প্রকাশের ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমগুলোর জন্য ‘নৈতিক নীতিমালা’ প্রণয়ন চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল (আইনি) নোটিশ পাঠানো হয়। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নোটিশের পরও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন আইনজীবী জারিন রহমান ও রাশিদা চৌধুরী নীলু।
রিটের শুনানি নিয়ে ‘ন্যাশনাল অনলাইন মাস মিডিয়া পলিসি-২০১৭’ অনুযায়ী দেশে অননুমোদিত ও অরেজিস্ট্রিকৃত অনলাইন মিডিয়াগুলো কেন বন্ধ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।