
জুমাবারকে বলা হয় গরিবের ঈদের দিন। মুসলিম উম্মাহর জন্য সপ্তাহের শ্রেষ্ঠতম দিন এটি। হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে এই দিনে সমাজের সব স্তরের মানুষ পাশাপাশি দাঁড়িয়ে কাঁধে কাঁধ মিলয়ে নামাজ আদায় করেন। তাতে করে পরম করুণাময়ের দোয়ায় সবার মাঝে প্রেম-প্রীতি, ভ্রাতৃত্ববোধ ও সম্পর্কের সেতুবন্ধন গড়ে উঠে।
মুমিন মুসলমানের জন্য পবিত্র এ দিন হচ্ছে ইবাদতের দিন। এ দিনের রয়েছে বিশেষ আমল। নবী রাসুল হজরত মুহম্মদ (সা.) এ দিনকে আল্লাহ তায়ালার দেয়া সেরা উপহার সাপ্তাহিক ইবাদত-বন্দেগির জন্য ঈদের দিন হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
জুমার বিশেষ দিনের আমল
জুমার দিনের অনন্য আমল হলো- এ দিনের একটি আমলেই মিলবে হাজার বছরের নামাজ-রোজার সাওয়াব।
হাদিসে এসেছে- রাসুলুল্লাহ বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন ৫টি কাজ করার মাধ্যমে ১টি আমল করবে, অর্থাৎ জুমার নামাজ পড়তে আসবে, আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তির মসজিদে আসার প্রতি কদমে (পদক্ষেপে) ১ বছরের নফল নামাজ ও নফল রোজার সাওয়াব দান করবেন। (সুবহানাল্লাহ!)
জুমার দিনের ৫টি কাজ হলো-
১. জুমার দিন গোসল করা
২. আগে আগে মসজিদে আসা
৩. পায়ে হেঁটে মসজিদ আসা
৪. ইমামের কাছাকাছি বসা এবং
৫. মনোযোগ দিয়ে খুতবা শোনা।
জুমার দিন এ ৫টি কাজের আমল করলে আল্লাহ তাআলা জুমা আদায়কারী ব্যক্তির প্রতি কদমে (পদক্ষেপে) ১ বছরের আমলের সাওয়াব দেবেন।
প্রিয় নবী রাসুলুল্লাহ এ আমলের সাওয়াবের বর্ণনাও দিয়েছেন অন্য হাদিসে। তাহলো- এক বছরের নফল নামাজ ও নফল রোজার সাওয়াব।
বাড়ি থেকে মসজিদে আসতে যে কয় কদম হেঁটে আসবে, ওই ব্যক্তি তত বছর নফল নামাজ ও নফল রোজার সাওয়াবের অধিকারী হবেন।
যদি কোনও ব্যক্তির বাড়ি থেকে মসজিদে আসতে ১০০ কদম হাঁটা লাগে, ওই ব্যক্তি যদি উল্লিখিত ৫টি কাজ মেনে জুমার দিন আমল করে তবে তার আমলনামায় ১০০ বছরের নফল নামাজ ও নফল রোজার সাওয়াব যোগ হবে।
হাদিস বিশেষজ্ঞদের মতে- জুমার দিনের এ আমলের সুযোগের চেয়ে বেশি আমলের সুযোগ লাভের আর কোনও দ্বিতীয় মাধ্যম নেই।