
সিরাজগঞ্জ: যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় থাকলেও বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কসহ সিরাজগঞ্জের সব রুটে গণপরিবহন সংকট দেখা দিয়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন উত্তরের যাত্রীরা।
সোমবার (১৭ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ওই মহাসড়কের কড্ডার মোড়, নলকা মোড় ও হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় উত্তরাঞ্চল থেকে ঢাকাগামী যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। মহাসড়কে সীমিত আকারে কিছু আঞ্চলিক বাস চলাচল করতে দেখা গেলেও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে যানবাহন সংকটে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরতে যাওয়া উত্তরাঞ্চলের যাত্রীদের।
এদিকে, বিকল্প পরিবহন হিসাবে ট্রাক, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, পিকআপভ্যান ও মোটরসাইকেলের ওপর ভরসা করছেন যাত্রীরা। এতে করে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিতে হচ্ছে তাদের।
যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পাবনা, নাটোর, বগুড়া, রংপুর, গাইবান্ধা, নওগাঁসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে তারা ভেঙে ভেঙে বা বিকল্প পরিবহনে একাধিক গাড়ি পরিবর্তণের পর সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে এসেছেন। উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জের কড্ডার মোড় ও হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় এসে যানবাহন না পেয়ে তারা চরম বিড়ম্বনায় শিকার হচ্ছেন। এসব স্থানে এসে তারা অবস্থান ঢাকাগামী যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করছেন।
যানবাহন না পেয়ে অনেকে বাধ্য হয়ে কয়েকগুণ অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ট্রাক, পিকআপভ্যান, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। কিন্তু স্বল্প আয়ের শ্রমজীবিরা পড়েছেন চরম বিপাকে। তারা অতিরিক্ত ভাড়া দিতে না পেরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
এদিকে আবার, যে সব যানবাহনে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে, সেগুলোতে মানা হচ্ছে না কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবিধি। গাদাগাদি করে যাত্রী নিয়ে যাচ্ছে এসব যানবাহনগুলো। ফলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজাহান আলী বলেন, মহাসড়কে কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীদের চাপ রয়েছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী দূরপাল্লার বাস চলতে দেওয়া হচ্ছে না। মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।