সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে নিয়মকে অনুসরন করে গ্রামীণ ব্যাংক একটি সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান হওয়ার সুবাধে এর সকল কর্মীগনকে বেতন-ভাতা সহ সকল সুবিধা শুরু থেকে প্রদান করে আসছে।সরাকারি পেনশন অনুসরন করে গ্রামীণ ব্যাংক পেনশন সার্কুলার জারি করে তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে সরকার পুন:পেনশন সহ অন্যান্য ভাতাদি ঘোষনা করে, যা 1 জুলাই 2017 থেকে কার্যকর। গ্রামীণ ব্যাংক সহ দেশে অনেক সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। গ্রামীণ ব্যাংক ছাড়া দেশের সংবিধিবদ্ধ সকল প্রতিষ্ঠানেই সরকার ঘোষিত পুন:পেনশন সুবিধা ইতিমধ্যে বাস্তবায়ন করেছে। এছাড়া সরকার ইতিমধ্যে 100% এর স্থলে 50% পেনশন স্যারেন্ডারের সার্কুলারও ঘোষনা করে। গ্রামীণ ব্যাংক সরকারের সকল সার্কূলার অনুসরন করলেও সরকার ঘোষিত 100% এর স্থলে 50% পেনশন স্যারেন্ডারের সার্কুলার আজ পর্যন্ত বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে যাচ্ছে। গ্রামীণ ব্যাংকের কয়েকজন অর্থলোভী কর্মীর কারনে এ অনিয়ম করে তারা 100% এর স্থলে 50% পেনশন স্যারেন্ডারের সার্কুলারকে আজ পর্যন্ত বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে যাচ্ছে।যার ফলশ্রুতিতে 14 হাজার অবসরকারিগন তাদের ন্যায্য পাওনা পুন:পেনশন থেকে বঞ্চিত হয়ে সরকার ঘোষিত সামাজিক সুরক্ষার বাইরে অবস্থান করছে। এসংখ্যা প্রতি বছরে যোগ হয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ইতিমধ্যে অবসরকারিগন তাদের আন্দোলনের পাশাপাশি আলোচনাও অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট তাহা অগ্রাহ্য করে পুন:পেনশন বাস্তবায়ন আজ পর্যন্ত করেনি। যার ফলে গ্রামীণ ব্যাংকে 14 হাজার অবসরকারির মাসিক পুন:পেনশন, প্রতিবছর তিনটি বোনাস, মেডিক্যাল ভাতা সহ মোট বকেয়ার পরিমান দাড়িয়েছে 13188000000 টাকা। এটাকা প্রতিবছর প্রায় 4396000000 টাকা করে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অবসরকারিগন প্রকৃতপক্ষে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা কর্মী। তদের ভয় হচ্ছে – উক্ত অসাধু বর্তমান গ্রামীণ ব্যাংকের কয়েকজন কর্মীর কারনে গ্রামীণ ব্যাংক আজ দেউলিয়ার পথে। যদি পুন:পেনশন এখনই বাস্তবায়ন করা না হয – তবে বকেয়া পুন:পেনশনের চাপে এবং এ টাকা এক সাথে পরিশোধ করতে যেয়ে নোবেল বিজয়ী গ্রামীণ ব্যাংক কি দেউলিয়া হয়ে যাবে?