
বাংলাদেশের ইতিহাস লিখতে যেমন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাড়া লেখা সম্ভব নয় তেমনি তার নি:স্বার্থ ক্ষমতার অনুশীলনও বাংলার মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়ে স্বর্নালী ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করে দিয়েছিল।তবে সে স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্থানিরা 30 লক্ষাধিক মানুষকে শহীদ করেছে ও লক্ষাধিক মা-বোনরে সম্ভ্রম কেড়ে নিয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে যুদ্ধের ময়দানে পরাজয় বরন করে পাকিস্তানের বাঘা বাঘা যোদ্ধারা চোখের পানিতে বাংলা ভেষে দিয়েছিল। তারপরও বঙ্গবন্ধু তাদের ক্ষমা করে এসব পাকিস্তানি সৈনিকদের দেশে পাঠিয়েছিল।এভাবে ক্ষমতা ব্যবহারের দিক থেকে বঙ্গবন্ধু তার উদারতা, নি:স্বার্থবাদ, বাংলার দুখি মানুষের জন্য তার অক্লান্ত পরিশ্রম দিয়ে প্রমান রেখে গেছে ক্ষমতা কিভাবে মানুষের কল্যানের স্বার্থে অনুশীলন করতে হয়।
তারই রক্তের ধারাবাহিকতায় আজ তার যোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাবার ক্ষমতা অনুশীলনকে মানদন্ড ধরে দেশ পরিচালনা করছে। মানবতার মা শেখ হাসিনা সাধারন জীবন যাপনের পাশাপাশি অতি ধর্মভীরু একজন স্বার্থক ও সফল রাস্ট্র নায়ক। শেখ হাসিনা ক্ষমতাকে শুধুই ব্যবহার করছে 18 কোটি বাংলাদেশের মানুষের কল্যানের জন্য। যার হাজার হাজার প্রমান আজ দৃশ্যমান। সবগুলো বিষয় উল্লেখ করা সম্ভব না হলেও- উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে উন্নীত করার বিষয়টি দেশে-বিদেশে উদাহরন হয়ে আছে। অতি সম্প্রতি করোনা মাহামারিকে রুখে দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী সরকার করোনা মহামারি প্রতিরোধের ক্ষেত্রে বিশ্বে 20তম স্থানে অবস্থান করে নিয়েছে। এভাবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অবদান বাংলার মানুষ হৃদয়ে গেথে ফেলেছে। যার সুবাধে ধারাবাহিকভাবে আজ তিন তিন বারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনা করে আসছে।
আমরা যারা স্বাধীনতা যুদ্ধে কম-বেশি সহায়তা করেছিলাম এবং আজ পর্যন্ত আওয়ামী ধারায় অবারিত আছি- তারা এদেশের আদি-অন্তর জানি এবং বুঝি। আজ দেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার মেধা, শ্রম ও দক্ষতা দিয়ে সকল মানুষকে নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে সকল কর্মসূচি গ্রহন করেছে। যার মাধ্যমে আজ অনেক কর্মসূচিই দেশের অধিকাংশ মানুষের দোড়গোড়ায় পৌছে দেয়া সম্ভব হয়েছে।অন্যান্যের মধ্যে বিদ্যূতের কথা স্বরনযোগ্য।সকলকে উন্নয়নের মাহসড়কে দাড় করাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনেক সময় কাউকে কাউকে তার বিশেষ কর্মসূচী বাস্তবায়নের জন্য বিশেষ দায়িত্ব প্রদান করে। সেক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার সময়ে সময়ে পরামর্শ দ্বারা বর্নিত ব্যক্তিকে দিয়ে তার কর্মসূচি বাস্তবায় করে নিচ্ছে- উপকৃত হচ্ছে দেশের সকল মানুষ। যেখানে স্বাধীনতার সুফল মানুষ ভোগ করতে পারছে।
তবে অতি দু:খের সাথে বলতে হয় যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে অনেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি তার নিজের ও তার গোষ্ঠির বা পরিবারের আর্থিক সহ নানাহ ধরনের স্বার্থ উদ্ধারে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।অপরদিকে এসব ব্যক্তি আওয়ামী ধারার বিরোধিদের হাতে হাত মিলায়। যার ফলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহিত কমূসূচি উক্ত ব্যক্তি দ্বারা আর দেশের সকল মানুষের কাছে পৌছানো সম্ভব হয না। এক্ষেত্রেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার বিচক্ষনতার আলোকে ব্যক্তি পরিবর্তন করে তার কর্মসূচি বাস্তবায়নে সদা ব্যস্ত।
ব্যক্তির কারনে অনেক কর্মসূচি বেস্তে গেছে তা দেশের সকল মানুষই জানে। তা না হলে মানবতার মা শেখ হাসিনার আদর্শ নিয়ে দেশের সকল মানুষ কাজ করলে দেশ আজ সিঙ্গাপুরকে ছেড়ে যেত। তারপরও শেখ হাসিনার নিরলস পরিশ্রম ও বলিষ্ঠ কৌশল থেমে রয় নাই। তার উদ্দেশ্য এদেশের সকল মানুষের নিকট দেশে চলমান সকল সুবিধা পৌছে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত করা।
আমরা যারা দেশের উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালি করতে চাই – তাদের চোখে কিছু বিয়য় ও কিছু মানুষের কাজ দৃষ্টিকটু মনে হয়। যার মধ্যে একটি বিষয়ের সাথে আমি নিজে সরাসরি ও প্রত্যক্ষভাবে জড়িত বিধায় এর আদি অন্ত জানার সুবাধে বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনার জন্য খোলাসা করতে চাই।
গ্রামীণ ব্যাংক আজ সরকারের কর্মসূচিকে বাস্তবায়ন করতে প্রত্যন্ত গ্রাম এলাকার দরিদ্র মানুষের পাশে অবস্থান করছে। গ্রামীণ ব্যাংকে প্রতিষ্ঠা কালিন সময় থেকে কাজ করে এই দরিদ্র মানুষের দৌড়গোড়ায় আমরা গ্রামীণ ব্যাংক পৌছে দিয়েছিলাম। শুধু গ্রামীণ ব্যাংক নয় মানুষের মৌলিক চাহিদা-খাদ্য, বস্তু, বাসস্থান, শিক্ষা সহ সকল বিষয়ে গ্রামের দরিদ্র মানুষকে সহায়তা করে এর চর্চা করতে শিখিয়েছিলাম। যার সুবাধে গ্রামীণ ব্যাংক নোবেল পেয়েছে এবং আজ গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা মুনাফা করছে।আমাদের পরিশ্রমের ফল হিসেবে দেশের ও আন্তর্জাতিক অনেক পুরস্কার গ্রামীণ ব্যাংক অর্জন করেছে।
এই গ্রামীণ ব্যাংক আমরা যারা প্রতিষ্টিত করেছি তাদের মধ্যে আজ 14 হাজার কর্মী অবসরপ্রাপ্ত। এ অবসর গ্রামীণ ব্যাংকের ধারাবাহিক অনিয়ম চর্চার ফল। এই 14 হাজার কর্মীকে গ্রামীণ ব্যাংক তার অপকৌশল চর্চার মাধ্যমে চাকরি শেষ না হতেই 10 বছর বা তার সামান্য সময় বেশির অতিবাহিত হলেই জোর করে অবসরে পাঠিয়েছে। যেখানে আওয়ামী বিারোধি শক্তি তার অপশক্তির খেলা দেখিয়েছে।এই আওয়াম বিরোধি শক্তির নেতৃত্ব দিয়েছে এদেরই একজন মানুষ- যার নাম প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
যাক আমরা এই 14 হাজার অসময়ে অবসরপ্রাপ্ত কর্মী পরিবার পরিজন নিয়ে খেয়ে না খেয়ে বা অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছি। এরই মধ্যে অনেকে অর্থিক দৈন্যতার কারনে মৃর্ত্যুর কোলে ঢোলে পড়েছে।
এরই মাঝে মানবতার মা শেখ হাসিনা সামাজিক সুরক্ষার জন্য পুন:পেনশন সহ নানাহ সুবিধা ঘোষনা করলেন। যার সুবাধে 2004 সাল থেকে সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংবিধিবদ্ধ দেশের সকল প্রতিষ্ঠান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষনাকে সম্মান করে বাস্তবায়ন করেছে। কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংকে আওয়ামী বিরোধি ম্যানেজমেনেন্টের ধারার মানুষ আজও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনাকে অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করে আসছে। শুধু তাই নয় সরকার ঘোষিত 100% এর স্থলে 50% পেনশন স্যারেন্ডাকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে চলেছে। এসব করা হচ্ছে আওয়ামী সরকারের উন্নয়নের ধারাকে ব্যহত করতে।
ইতিমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার বিচক্ষনতায় গ্রামীণ ব্যাংকে একজন চেয়ারম্যান নিয়োগ দিলেন।যার নাম ড. সাইফুল মজিদ।আমরা 14 হাজার অবসরপ্রাপ্ত কর্মী যখন আমাদের পুন:পেনশন বাস্তবায়নের আন্দোলনে গ্রামীণ ব্যাংকের আওয়ামী বিরোধিদের বিরুদ্ধে পেরে উঠেছিলাম না- তখন ড. সাইফুল মজিদ এর নিয়োগকে আমরা 14 হাজার অবসরপ্রাপ্ত আশার অলো মনে করলাম। যার সুবাধে তার সাথে আমরা অবসরকারিগন বিভিন্ন সময়ে সাক্ষাত করে পত্র দিয়ে আমাদের পুন:পেনশ ও অন্যান্য ভাতাদি প্রাপ্তির বিষয়ে দাবি জানিয়ে আসছিলাম। তার আশ্বাসে আমরা তাকে নানাহ তথ্য সরবরাহ করে গ্রামীণ ব্যাংকের আওয়ামী বিরোধিদের মুখোস উন্মোচন করি। তাতে ড. সাইফুল মজিদ আমাদের অবসরাকরিদের পুন:পেনশন বাস্তবায়নের আশ্বাসও প্রদান করে। দিন যায় গ্রামীণ ব্যাংকের আওয়ামী বিরোধিরা আস্টে-পিস্টে ড. সাইফুল মজিদকে স্বার্থের বেড়াজালে বেধে ফেলে।আস্তে আস্তে সাইফুল মজিদও তাদের আহবানে সাড়া দিয়ে তাদের সাথে একাত্নতা ঘোষনা করে সরকারি বিরোধি সকল কর্মসূচি গ্রামীণ ব্যাংকে বাস্তবায়ন অব্যাহত রাখে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত পুন:পেনশন বাস্তবায়ন থেকে সটকে পড়ে আওয়ামী বিরোধিদের সাথে হাত মিলায়।এখানেই ড. সাইফুল মজিদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি পুন:পেনশ বাস্তবায়নে শুধু বাধা হয়নি –গ্রামীণ ব্যাংকের আওয়ামী বিরোধিদের লালন করা সরকার বিরোধি কর্মসূচি 100% এর স্থলে 50% পেনশন স্যারেন্ডাকে সমর্থন দিয়ে বসে রইলেন।
ইতিমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে অর্থ মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব, মোর্শেদা জামান গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে পুন:পেনশন বাস্তবায়নের পক্ষে পত্র প্রেরন করলেন। পত্রে পরিস্কার ভাষায় বলে দিলেন “গ্রামীণ ব্যাংক অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীর বর্নিত আবেদনের (পুন:পেনশন) বিষয়ে গ্রামীণ ব্যাংক এর পরিচালনা পর্যদ কর্তৃক বিধিমোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হ’ল।” এখানেও গ্রামীণ ব্যাংকের আওয়ামী বিরোধিরা ড. সাইফুল মজিদকে পরাস্থ করে পুন:পেনশন বাস্তবায়নের পথ থেকে সড়ে দাড়াতে বাধ্য করেন। ড. সাইফুল মজিদও আওয়ামী ও সরকার বিরোধিদের পক্ষ নিয়ে 14 হাজার গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠাকারি অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। আজ পর্যন্ত বর্নিত নির্দেশনার বিষয়ে ড. সাইফুল মজিদকে কোন ব্যবস্থা নিতে আমরা দেখি নাই। বরং অর্থমন্ত্রনালয়ের উপরোক্ত পত্রকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে ড. সাইফুল মজিদ আওয়ামী বিরোধিদের সাথে গ্রামীণ ব্যাংকে বসে বসে সরকারের বিরুদ্ধে খেলছে।
দেখতে দেখতে তার দায়িত্বের সময় পার হেয়ে গেল। এখানে ড. সাইফুল মজিদ গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের পুরোসময়েই গ্রামীণ ব্যাংকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত সামাজিক সুরক্ষার বিরুদ্ধে কার্যক্রম বাস্তবায়িত হয়েছে। যার ফলে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে প্রতিবছর হাজারের অধিক সংখ্যক কর্মী অবসরে যেযে সামাজিক সুরক্ষার বাইরে যেয়ে পূর্বে জোর করে অবসরে পাঠান 14 হাজার কর্মীর সহিত যুক্ত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সামাজিক সুরক্ষার কর্মসূচির বাহিরে চলে যাচ্ছে। যা আমাদেরকে ব্যথিত করছে।
কিসের জন্য, কোন কারনে এব্ং কি স্বার্থে ড. সাইফুল মজিদ গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত কর্মসূচির বিরুদ্ধে সকল কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে চলেছে তার একটা হিসাব 14 হাজার অবসরপ্রাপ্ত কর্মী পর্যালোচনা করে চলেছে। হিসাব না মিলাতে পারলেও বুঝা যাচ্ছে ড. সাইফুল মজিদ গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে আওয়ামী বিরোধিদের সাথে হাত মিলিয়ে সরকারের কর্মসূচির বিরোধিতা করছে। আওয়ামী বিরোধি গ্রামীণ ব্যাংকের মনগড়া, বানোয়াট, মিথ্য তথ্যকে নির্ভর করে ড. সাইফুল মজিদ গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
এক্ষেত্রে 14 হাজার অবসরকারিগনের জিজ্ঞাসা- (1) গ্রামীণ ব্যাংক সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও কার ইশারায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় পুন:পেনশন সহ অন্যান্য ভাতাদির সুবিধা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না।, (2) সরকারের পক্ষ থেকে অর্থ মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব, মোর্শেদা জামান গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে পুন:পেনশন বাস্তবায়নে পক্ষে পত্র প্রেরন করে বলে দিলেন “গ্রামীণ ব্যাংক অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীর বর্নিত আবেদনের বিষয়ে গ্রামীণ ব্যাংক এর পরিচালনা পর্যদ কর্তৃক বিধিমোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হ’ল।” কার ইশারায় সরকারের এই অনুরোধকে বাস্তবায়ন করা হলো না ও এ বিষয়ে কেন চেয়ারম্যান বোর্ডে ব্যবস্থা গ্রহন করলেন না? এবং (3) সরকারের পরিস্কার সার্কুলার থাকার পরও এবং সরকারিসহ দেশের সকল সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে 100% এর স্থলে 50% পেনশন স্যারেন্ডার করা হলেও – গ্রামীণ ব্যাংকে তা অমান্য করে আজ অবধি 100% স্যারেন্ডার করে আসছে? সর্বপুরি এক্ষেত্রে গ্রামীণ ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট, বোর্ড ও বোর্ড চেয়ারম্যান কেন স্ব-স্ব দায়িত্ব পালন করে বর্নিত অনিয়মগুলি দুর করে গ্রামীণ ব্যাংককে সরকারের নিয়মের ধারায় ফিরে আনছে না? আজ এই প্রশ্ন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে- দেশবাসির নিকট।
এক্ষেত্রে দেশের সচেতন মানুষ যেমন বিষয়টিকে পছন্দ করছে না তেমনি 14 হাজার অবসরপ্রাপ্ত কর্মী তাদের ন্যায্য পাওনা পুন:পেনশন সহ অন্যান্য ভাতাদির সুবিধা পাচ্ছে না। আমারা দেশের সকল প্রকৃত আওয়ামীদের অনুরোধ করব বিষয়টি যাচাই করে দেখার জন্য। আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মানবতার মা শেখ হাসিনাকে বিনীতভাবে আমরা অনুরোধ করতে চাই – আপনারই আদর্শের অনুসারি, গামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা 14 হাজার অবসরপ্রাপ্ত কর্মীর পুন:পেনশন বিরোধিতা করে যারা আওয়ামী বিরোধি শক্তিকে শক্তিশালি করতে চায় তাদরে বিষদাত এখই ভেঙ্গে দিন- ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা 14 হাজার অবসরপ্রাপ্ত কর্মী, যারা আপনার আদর্শে বিশ্বাসি- তাদের ন্যায্য পাওনা পুন:পেনশ বাস্তবায়নের জন্য যথাযথ নির্দেশনা প্রদান করুন।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয় শেখ হাসিনা।