
মুচি রঞ্জিত দাস। অন্যের জুতা সেলাই ও মেরামত করেই সংসার চালান তিনি। অন্যের জুতা মেরামত করলেও ভ্যাগটা মেরামত হয়নি রঞ্জিত দাসের। ৫০ বছর ধরে একই স্থানে জুতা সেলাইয়ের কাজ করছেন। রাজধানীর ফকিরাপুলে কালভার্ট রোডে একটি দোকানে নিচে বসে কাজ করেন।
জুতা সেলাইয়ের ফাঁকে ফাঁকে অবসর সময় কাজে লাগান তিনি। কাস্টমার না থাকলেই পেন্সিল আর সাদা পেইজ নিয়ে ছবি আঁকায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি।পত্রিকার পাতা দেখে-দেখে ছবি আঁকেন। তবে ছবি আকার জন্য কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণ করতে হয়নি তাকে। কয়েক বছর ধরে তিনি এ কাজ করছেন। কখনও বঙ্গবন্ধুর ছবি আবার কখনও বিভিন্ন নায়ক-নায়িকার ছবিও আঁকেন তিনি।
রঞ্জিত দাস ব্রেকিংনিউজ নিউজকে বলেন, পত্রিকার ছবি দেখে দেখে আমি এগুলো আর্ট করি। পত্রিকায় বঙ্গবন্ধু ছবি দেখে আর্ট করেছি। মুক্তিযুদ্ধের ছবি আর্ট করেছি, ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। শেখ মুজিবুরের ছবি আকঁতেছি।
আঁকা ছবিগুলো বিভিন্নজন বিনামূল্যে নিয়ে যায় মুচি রঞ্জিত দাসের কাছ থেকে, এর জন্য তিনি কোনও বিনিময় নেন না।
রঞ্জিত দাসের বাসা গোপীবাগ। তার ছেলে মেয়ে ৫ জন। তিন মেয়ে আর ২ ছেলে।