
ঢাকা: বিচার ব্যবস্থা ও কারাগার সংস্কার, বিশেষ করে বিচারাধীন মামলার দ্রুত নিস্পত্তি, কারাগারে বন্দি সংখ্যা হ্রাস করে ন্যায়বিচারে মানুষের প্রবেশাধিকার বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশের ২৬টি জেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে ‘রুল অফ ল’ প্রোগ্রাম।
কারাবন্দিদের অপরাধ প্রবণতা থেকে মুক্ত করে সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন কার্যক্রমও গ্রহণ করা হয়েছে।
জিআইজেড ও বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষাসেবা বিভাগ বাস্তবায়িত এই কাজে সহায়তা করছে জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন এবং যুক্তরাজ্য সরকারের ফরেন, কমনওয়েলথ্ অ্যন্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস।
এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার কারা কনভেনশন সেন্টারে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কারামুক্ত বন্দিদের হাতে জীবিকায়ন সামগ্রী যেমন, সেলাই মেশিন, ইলেকট্রনিক টুলবক্স, কম্পিউটার ইত্যাদি তুলে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান এমপি, বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন ও জার্মান রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহোল্টজ।
ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন বলেন,
আমি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পেরে আনন্দিত। আজকের এই অনুষ্ঠান বাংলাদেশের কারাবন্দি এবং তাদের পরিবারের সদস্য যারা যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও বাংলাদেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব থেকে উপকৃত হচ্ছেন তাদের জীবনে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনাকে উদযাপন করছে।
দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশের উন্নয়নের অন্যতম সহযোগী যুক্তরাজ্য সুরক্ষা, নিরাপত্তা এবং ন্যায়বিচার বিষয়ক কাজে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। আমি আনন্দিত যে সমাজে নিজেদের টেকসইভাবে পুনর্বাসিত করতে অনেক মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিরা এই যৌথ প্রকল্পের মাধ্যমে জীবন-জীবিকার সহায়তা পাবে।
আমাদের এই যৌথ প্রকল্পটি যেভাবে বাংলাদেশের ন্যায়বিচার নিশ্চিতকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে কোভিড-১৯ অতিমারির চ্যালেঞ্জ ব্যবস্থাপনায় ব্যাপকভাবে সাহায্য করেছে তা দেখেও আমি সন্তুষ্ট।
অনুষ্ঠানের উপস্থি ছিলেন- কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. তরুণ কান্তি শিকদার, ঢাকা আহছানিয়া মিশনের সভাপতি রফিকুল আলম এবং ‘রুল অফ ল’ প্রোগ্রামের প্রধান প্রমিতা সেনগুপ্ত।